•ঢাকা প্রতিবেদক:-
শহীদ দিবসের আয়োজনকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার গণতান্ত্রিক আচার ঐতিহ্যকে পদদলিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একের পর এক স্বৈরাচারী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এমন আচরণ চরম অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা।
জোটের সমন্বয়ক সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সহ-সমন্বয়ক বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) নজির আমিন চৌধুরী জয়, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন ভাষা শহীদেরা। নানা আয়োজনে দেশের মানুষ এই আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। এর আয়োজন সার্বিকভাবে সফল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা হয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি অংশ।
নেতারা বলেন, সেই সভা থেকে ক্রিয়াশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামত নেওয়া হয় এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ আয়োজন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সহ সকলের একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা থাকে। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, এবছর একুশে ফেব্রুয়ারির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ পরিষদের কোন সভা না ডেকেই, কারোর মতামতের তোয়াক্কা না করেই স্বৈরাচারী কায়দায় সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। এভাবেই ধীরে ধীরে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করার অপচেষ্টায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা প্রশাসনের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট প্রশাসনিক আয়োজনে পুষ্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে। একইসাথে জোটভুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরীর মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের সাথে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করার ঘোষণা দেয়।
Leave a Reply