•স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
পবিত্র ঈদুল ফিতরে রংপুরে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রায় তিন লাখ মানুষকে ২ হাজার ৮৬৬ দশমিক ৪৭৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই তথ্য জানিয়েছেন রংপুরের ডিসি ড. চিত্রলেখা নাজনীন।
রংপুরের ডিসি ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, ‘ প্রকৃত কার্ডধারীদের জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আসছে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ অব্যাহত আছে। আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করছি, যাতে সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভিজিএফ বিতরণ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঈদের আগেই সব চাল বিতরণ হবে বলে জানান তিনি। ’
জেলা ত্রাণ, পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান, ‘ রংপুর জেলার ৮টি উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়ন এবং বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও হারাগাছ পৌরসভার তালিকাভুক্ত ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৭ জন দু:স্থ মানুষকে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হচ্ছে।প্রতি কার্ডধারীকে দেয়া হচ্ছে ১০ কেজি করে চাল।
তিনিন আরও জানান, এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ৬০২ জন ভিজিএফ কার্ডধারীকে ১৫৬ দশমিক ২০ মেট্রিক টন, মিঠাপুকুরে ৬৮ হাজার ৫৮৪ জনকে ৬৮৫ দশমিক ৮৪০ টন, পীরগঞ্জে ৩৮ হাজার ১৩২ জনকে ৩৮১ দশমিক ৩২০ টন, পীরগাছায় ৪৮ হাজার ৫১১ জনকে ৪৮৫ দশমিক ১১০ টন, কাউনিয়ায় ২৭ হাজার ৬৬৫ জনকে ২৭৬ দশমিক ৬৫০ টন, গঙ্গাচড়ায় ৪২ হাজার ৯৩৮ জনকে ৪২৯ দশমিক ৩৮০ টন, বদরগঞ্জে ২৩ হাজার ৮৪৭ জনকে ২৩৮ দশমিক ৪৭০ টন এবং তারাগঞ্জে ১৩ হাজার ৬৬৬ জনকে ১৩৬ দশমিক ৬৬০ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে বদরগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১ জনকে ৩৮ দশমিক ১০ টন , পীরগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১ জনকে ৩৮ দশমিক ১০ টন ও হারাগাছ পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০ জনকে ১৫ দশমিক ৪০০ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভারগুলোর ওয়ার্ড এবং উপজেলাগুলোর ইউনিয়ন অফিসগুলোতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে এসব চাল বিতরণ করছেন।
এদিকে কালোবাজারি, ওজনে কম দেয়াসহ আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধে ডিসি নেতৃত্বে সব কিছু মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply