স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||বাতায়ন২৪.কম:-
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ মুখতার ইলাহী হল প্রশাসনের বিতরণ করা খাবারে পোকা পাওয়া যায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এদিকে তরিঘরি করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতে তিন হলের খাবারে তিন রকমের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এরমধ্যে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ইফতার ও ইফতার সামগ্রী ও বিরিয়ানির প্যাকেট’সহ ১টি করে জুস বিতরণ করা হয় এদিকে শহীদ মুখতার ইলাহি হল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে খেজুর ,জুস ছাড়া এক প্যাকেট করে বিরিয়ানি বিতরণ করেন।
আরো জানা যায়, শহীদ মুখতার ইলাহী হলের খাবার সবচেয়ে নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর প্ল্যাস্টিকের ৩৭০টি প্যাকেট খাবার বিতরন করা হয়েছে।
শহীদ মুখতার ইলাহি হলের দশজনের অধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা জানায়, প্যাকেট হাতে পেয়ে দেখি দুইটি খেজুর, অর্ধসিদ্ধ পোলাও, একটি পোড়া মুরগীর রোস্ট , সাথে গন্ধযুক্ত মশুর ডালের ভুনা। একাধিক শিক্ষার্থীর পেটে সমস্যার বিষয়টিও জানান তারা।
খাবারে পোকা পাওয়া শহীদ মুখতার ইলাহি হলের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বাধীন বলেন,”বিশেষ দিনে বিশেষ খাবার এমনটা হবে আমি প্রত্যাশা করিনি। আমাকে দেয়া খাবারের প্যাকেটটি ইফতারের উদ্দেশ্য বের করে পোকা দেখতে পেয়ে। খাবার না খেয়ে ফেলে দিয়েছি।”
শহীদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু আব্দুল্লাহ সুজন জানায়, যে খাবার খাওয়ার খাওয়া যায় না তা দেয়ার দরকার কি? রমজান মাসেও শিক্ষার্থীদের সাথে খাবার নিয়ে প্রতারণা মোটেই কাম্য না। এগুলো প্রভোস্টের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয়। তিনি হলে নিয়মিত খাবার ডাইনিংয়েও কোন খোঁজ রাখেন না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এম ওয়ালিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করেন, মুখতার ইলাহী হলে ১ জন প্রভোস্ট সহ, ৭ জন সহকারী প্রভোস্ট। জনাব আপনাদের রুচির প্রশংসা করতে হয়।
আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রভোস্ট স্যার রা তো নিজেরা এ খাবার খাবে না তাই শিক্ষার্থীদের এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার দিতে পেরেছে।
এ বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্ট জহির উদ্দীন নিম্ন মানের খাবার ও খাবারে পোকা পাওয়ার বিষয়ে বলেন, এমন হয়ে থাকলে তা ঠিক হয়নি। এবার খাবারের বিষয়ে প্রভোস্ট স্যার নিজেই দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
ছাত্র পরামর্শ ও নিদেশনা দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন,ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক, আমি বিব্রতবোধ করছি, এর দায় হল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে শহীদ মুখতার ইলাহি হলের প্রভোস্ট ড. রশীদুল ইসলাম কে তার কক্ষে না পেয়ে। একাধিকবার তার মোবাইলে কল করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।
আবাসিক হলে নিম্নমানের খাবার বিতরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ কে ফোন দিলে তিনি জানান এখন আমি ঢাকায় আছি ক্যাম্পাসে ফিরে বিষয়টি দেখবো।
Leave a Reply