•সেলিম সরকার,বদরগঞ্জ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ জুলাই)। ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে জাতীয় পার্টি বদরগঞ্জ উপজেলা শাখা।
আজ উপজেলা জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন সরদার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মাসুদ রানা সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনা মো. ফেরদৌস।সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবসংহতি নেতা বজলুর রশিদ বুলেট, আতাউর জামান জনি, মশিউর রহমান, গোলাম রব্বানি রনি, ইসমাইল হোসেন, মেজবাউল আলম সাবু ইমদাদুল হক সহ উপজেলা জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ।
এ সময় বক্তারা উপজেলা জাতীয় পার্টিকে ঢেলে সাজিয়ে শক্তিশালী দলে পরিণত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।বদরগঞ্জ তারাগঞ্জ উপজেলায় আবার জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।এ সময় নেতারা সাবেক সংসদ আনিসুল ইসলাম মন্ডলকে মনোনয়ন দিয়ে আবার বদরগঞ্জ তারাগঞ্জকে মডেল উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তার আমলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ওষুধ নীতি প্রণয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ঢাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণসহ তার যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো এখনো প্রশংসনীয়।
১৯৮৬ সালে এরশাদ প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় পার্টি। শুরু থেকেই বৃহত্তর রংপুর জাতীয় পার্টির দুর্গে পরিণত হয়। আর তাই সাবেক সেনাপ্রধান হলেও মৃত্যুর পর ভক্ত-অনুসারীদের দাবির মুখে এরশাদকে রংপুরের পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে পরিবারের সঙ্গে রংপুরে চলে আসেন। ৯০ বছর বয়সে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
Leave a Reply