ঢাবি প্রতিবেদক:-
বুধবার(১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উদীচী চত্বরে শহদী বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ‘আমরা তোমাদের ভুলবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। এসময় তারা এই দাবি জানায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ এবং ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গান দুটি সমবেতভাবে পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর আলোচনা পর্বে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা আজও চলছে। দেশের তরুণ প্রজন্মকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছেই। আতিকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেই অবদানকে শুরু স্মরণ করলেই হবে না, তাদের আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরীর সন্তান আসিফ মুনির তন্ময় বলেন, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডেরও বিচার শুরু হয়। এরই মধ্যে কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই রায় কার্যকরের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ড সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ ও সমাজের প্রগতিশীল মানুষদের আহ্বান জানান আসিফ মুনির তলায়।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নিবাস দে, হাবিবুল আলম, প্রবীর সরদার এবং জামসেদ আনোয়ার তপন।
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। এ পর্বে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের শিল্পীরা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন মায়েশা সুলতানা উর্বী, সোনিয়া আক্তার এবং আনিকা মাহমুদ রীমা। এছাড়া আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য শিথা সেন। গুপ্তা এবং বাড্ডা শাখার বাচিক শিল্পী মরিয় বেগম তৃষা। শেষে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা।
Leave a Reply