বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রংপুরে গাছের ডাল পড়ে মারা গেলেন ১০ বছরের কন্যাসহ শিক্ষিকা, স্বামী আহত র‌্যাব-১৩ মাদক বিরোধী অভিযানঃ ৮১ কেজি গাজা ও ১১৪৫ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ, গ্রেফতার ৪ অবৈধভাবে স্যালাইন মজুদ: রংপুরের অবসর ও রিফাত মেডিসিন কর্নারকে জরিমানা সরকারকে সরাতে তারাতারি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করা হবে: আলাল   সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির দায়ে দুই কর্মচারীর ২ বছর করে কারাদন্ড পীরগঞ্জে ৩২ হাজার কেজি সরকারি চাল জব্দঃ ৩ কালোবাজারির নামে মামলা যানজট নিরসনে রংপুর মহানগরীতে চালু হলো ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম   মিঠাপুকুরে দু’মাসেও গ্রেফতার হয়নি অন্তঃসত্ত্বা সুমি কেরকেটা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আদুরী টপ্য রংপুর মহানগরীর বস্তিগুলোর ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
সোনামিয়ার খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সোনামিয়ার খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে স্লোগানের ভাষা নিয়ে বিরোধের জেরে আওয়ামীলীগেরদুই গ্রুপের সংঘর্ষে কৃষক সোনা মিয়া (৫৫) খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে  দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।

বুধবার বিকেল পৌনে ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত রংপুরের কাউনিয়ার মীরবাগে রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। অবরোধের কারণে প্রায় ঘন্টাখানেক লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সাথে রংপুরসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় অবরোধকারীরা সেখানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা পরিষদ সদস্য আলতাফ হোসেন, কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমশের আলী, কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সারাই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রযুক্তির এই যুগেও ঘটনার প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাক ও রাজু আহমেদসহ অন্যান্যরা গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। মুহুর্তেই কিভাবে তারা পালিয়ে যায় সেটি বোধগম্য নয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেন তারা। পরে পুলিশ এসে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

গত২৪ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় খানসামা হাট এলাকায় স্থানীয় এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে স্লোগানের ভাষা নিয়ে কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সন্ধা সাড়ে ৭ টায় খানসামা হাটে মায়া গ্রুপের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের চাচাতো ভাই কৃষক সোনা মিয়াকে চাপাতি ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। সোনা মিয়া মেয়ের বাড়ি থেকে ঈদের দাওয়াত খেয়ে ওই বাজারে তার নাতনি আরশি মনিকসহ চা খেয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ ঘটনায় রাজ্জাক ও রাজুকে প্রধান আসামী করে ৭৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে মামলা করেন সোনামিয়ার বড় পুত্র আখতারুজ্জামান সোহেল। নিহত সোনা মিয়া একজন কৃষক। তার দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। কৃষি জমি দেখার পাশাপাশি বাড়িতে গবাদিপশুর খামার দেখাশুনা করতেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ওই মামলায় ৮ জনকে দুই ইউপি সদস্যসহ ৮ আওয়ামীলীগ নেতাকর্র্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, হারাগাছ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মোজাম্মেল হক,  ৯ নং ওয়ার্ড  সদস্য মকবুল সালাম, উপজেলা আওয়মীলীগের বহিস্কৃত  সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, খানসামাহাটের বিকাশ দোকানদার মাইদুল ইসলাম, আব্দুল গাফফার, আব্দুল জলিল, আব্দুল আউয়াল এবং কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য টেপামধুপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আজমল হক দুলু(৪৫)।

কাউনিয়া থানার ওসি ফরহাদ মন্ডল জানান, স্থাণীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন সোনা মিয়া হত্যা কারীদের গ্রেফতারের দাবিতে। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা সেখানে যাই। তাদের সাথে কথা বলি। তারা আমাদের কথায় আশ্বস্থ্য হয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এখন পরিস্থিতি ও যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই আমরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আটজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছি। প্রধান আসামী রাজ্জাক-রাজুসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙখলাবাহিনী কাজ করছে।

এদিকে গত ২৬ এপ্রিল রংপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সংঘর্ষ এবং নিহতের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মাজেদ আলী বাবুলের প্রত্যক্ষ মদদে জেলা সদস্য ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং তার ভাই চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ কে দায়ী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান। সংবাদ সম্মেলনে মাজেদ আলী বাবুলের নামে স্লোগান না দেয়ায় তার অনুসারী আব্দুর রাজ্জাক এবং রাজু তাদের সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত বাহিনী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুষ্ঠান পন্ড এবং আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার অনুসারী আওয়ামীলীগ সদস্য সোনা মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে বলেও অভিযোগ করা হয়।

বাতায়ন২৪ডটকম।।সমামা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com