বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

ছবিঃ বাতায়ন২৪ডটকম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,পঞ্চগড়।।বাতায়ন২৪ডটকম।।

পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে কাপছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ । কমেছে তাপমাত্রা বেড়েছে শীতে । হাড় কাঁপানো শীতে নাকাল উত্তরের এই জনপদ ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস । ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গতকাল বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গত ১৭ ডিসেম্বর রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গত বছর এই দিনে রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস । দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হয়েছে ।

কদিন ধরে হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন খেঁটে খাওয়া মানুষেরা । ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের । তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে ।

স্থানীয়রা জানান, বেলা গড়ালেই হিমেল বাতাসে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে । সন্ধ্যার পর থেকে খুব ঠান্ডা । হিমালয়ের কাছাকাছি থাকায় শীতের মাত্রাও একটু বেশি হয় । সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে । মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই ।

চা-শ্রমিক জাহেরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও শাহজাহান  জানান, সকালে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে । কনকনে শীতের করছে, চা বাগানে কাজ করতে গেলে চা পাতা বরফের মতো লাগে । বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসে । তারপরও কাজ করতে হচ্ছে ।

মহানন্দা ও ডাহুক নদীর পাথর শ্রমিক এরশাদুল, বাদল, আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে নদীর পানি বরফের মতো ঠান্ডা থাকে। একদিকে কনকনে শীত, আরেকদিকে নদীর পানি বরফের মতো ঠান্ডা । কাজ করতে খুব কষ্ট হয় । তবুও জীবিকার টানে কাজ করতে হচ্ছে ।

এদিকে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ । জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা । উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন । এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে । এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায় । শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে । আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত  হয় । তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে । গত ৪ দিন পর আজ জেলায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা । এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল । এর আগে ২১ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৩, ২০ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৯, ১৯ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ।

বাতায়ন২৪ডটকম//আশা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com