বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

সব পথ মিলেমিশে এক হয়েছিল রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে

সব পথ মিলেমিশে এক হয়েছিল রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে

স্পেশাল করেসপনডেন্ট, বাতায়ন২৪ডটকম।।

রংপুরঃ শনিবার সব পথ এক হয়ে যেন মিশে যাচ্ছিল বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ স্থল রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলা ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেয় সমাবেশে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার  মুক্তির দাবি, তেল গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং খুন, গুম, ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই রংপুর মহানগরীর ৩৬ টি প্রবেশদ্বার দিয়ে আসতে থাকে মিছিল। পুরোনগরী পরিণত হয় মিছিলের। জাতীয় এবং দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগানে-শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরোনগরী। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে যানবাহন থেকে নামিয়ে মিছিল গুলোকে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে প্রতিটি জেলার মোড়ে মোড়ে সমাবেশে আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা।

অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের অধিকার নিশ্চিত  করার মাধ্যমে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র এবং  নির্যাতিত জনগণকে মুক্ত করার জন্যই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তারা। খালেদা জিয়ার মুক্তিকে এই গণসমাবেশের প্রধান লক্ষ্য বলতেছেন নেতাকর্মীরা। বর্তমান সরকারের কাছে নারীদের কোন নিরাপত্তা নেই দাবি করেছেন অংশগ্রহণকারী নারী নেত্রীরা। নেতা নেত্রীরা বলছেন, খুন, গুম, ধর্ষণ আর হত্যায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। কিন্তু সরকার এবং তার নেতাকর্মীরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনেগাছে। ভোট বিহীন এই সরকারের পদত্যাগও দাবি করেছেন নেতাকর্মীরা। তা না হলে আন্দোলনে অব্যাহত রাখার ঘোষণা তাদের।

দেখা গেছে নগরীর প্রত্যেকটি প্রবেশ দ্বারে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। যারা মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যান্য যানবাহনে এসেছেন তাদেরকে চেকপোষ্টে যানবাহন থেকে নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তারপর তারা হেঁটে হেঁটে সমাবেশে প্রবেশ করেছেন। সমাবেশে শেষ হওয়ার সময়ও উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে। কালেক্টরেট মাঠ উপচিয়ে নগরীর প্রধান সড়কের মেডিকেল মোড় থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। কাচারি বাজার এবং পায়রা চত্বর পর্যন্ত মাইক দেয়া থাকলেও অন্যান্য এলাকাগুলোই মাইক না থাকায় সমাবেশের বক্তব্য অনেক নেতা কর্মী শুনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। সমাবেশের তিনদিন আগে থেকেই মাঠে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। সেখানেই ঘাসে চাদও বিছিয়ে রাত কাটান। মাঠেই খাওয়া দাওয়া করেন নেতাকর্মীরা।

বাতায়ন২৪ডটকম/সমামা

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com