স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুর।।
আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সকল ধরনের প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবদুল বাতেন। এছাড়াও সকল প্রকার মিছিল মিটিং এবং শোডাউনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর অঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে সাথে আলাপ কালে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
আবদুল বাতেন বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য আইনানুগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণ বিধি প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সকল ধরনের ব্যানার, পোস্টার ফেস্টুন বিলবোর্ড সহ প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। আমি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে কোন প্রার্থী যদি নিজ থেকে এসব সামগ্রী অপসারণ না করে তাহলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
রিটারিং কর্মকর্তা জানান, ইভিএম এ ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে মগভেটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রমও শুরু হবে খুবই দ্রুত। সকল কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
গাইবান্ধার মত সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, এগুলো নির্বাচন কমিশনের নলেজে আছে। কেউ যেন কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে বাধা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সিসিটিভি ক্যামেরা নির্বাচন কমিশন থেকেও মনিটরিং করা হবে কোন ধরনের অনিয়ম হলে ভোট কেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন।
এ সময় রংপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০১ টি ভোট কেন্দ্রের ১৩৭ টি কক্ষে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৮ ই ডিসেম্বর চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জামাত ইসলামের মাহবুবুর রহমান বেলাল নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও আওয়ামী লীগের হাফ ডজন প্রার্থী মনোনয়নের জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। অন্যদিকে তেত্রিশটি ওয়ার্ডে এবং ১১ টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়তে আড়াই শতাধিক প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী টানানোসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাতায়ন২৪ডটকম।।
Leave a Reply