বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

রসিক নির্বাচনঃ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য আমি যা করেছি, আওয়ামীলীগের কোন জনপ্রতিনিধি তা করে নিঃ মোস্তফা

রসিক নির্বাচনঃ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য আমি যা করেছি, আওয়ামীলীগের কোন জনপ্রতিনিধি তা করে নিঃ মোস্তফা

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর ।। বাতায়ন২৪ডটকম।

নির্বাচনী প্রচারণার ৮ম দিনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সমর্থকদের প্রচারণায় সরব রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি পাড়া মহল্লা। চলছে গণসংযোগ, পথসভাসহ নানা ধরণের প্রচারণা। প্রচারণায়  জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলেছেন, আমি মেয়র থাকাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের জন্য যা করেছি, রংপুরে আওয়ামীলীগের কোন জনপ্রতিনিধি তা করে নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, সিটি এলাকায় জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংখ্যা ও ভাতা আরও বাড়ানো এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

শুক্রবারও (১৬ ডিসেম্বর) হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে প্রচারণা শুরু করেন। এরপর তিনি নগরীর সিওবাজার, হাজিপাড়া, মেডিক্যাল মোড়, লালকুঠি মোড়  এলাকায় গনসংযোগ করেন। দুপুর আড়াইটা থেকে তিনি বড়বাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়াও তিনি গোলাগঞ্জ, মডার্ণ মোড়, মুলাটোল পুকুর পাড়, গনেশপুর বালুর মাঠ ও নাজিড়দিগর এলাকায় পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এসএম ইয়াসীর, যুগ্ম আহবায়ক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম,  হাসানুজ্জামান নাজিম, শাহীন হোসেন জাকির, ইয়াসিন আরাফাত আসিফসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ৫ বছর মেয়র থাকাকালীন সময়ে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধোদের সর্বোচ্চ সম্মান করেছি। রংপুর সিটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ আওয়ামীলীগ নেয়নি, আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ শংক সমঝদারের অসহায় মায়ের নামে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা বরাদ্দ করেছি। নির্দিস্ট তারিখের মধ্যে সেই টাকা পৌছে যায় তার কাছে। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, তার কাছে সেই টাকা যাবে।  এছাড়াও ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মাসিক অনুদান দেয়ার সিস্টেম চালু করেছি। এটাও অব্যাহত থাকবে। এবার নির্বাচিত হলে  রংপুর সিটি এলাকায় বেঁচে থাকা এবং শহীদ হওয়া সব মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আর্থিক অনুদানের আওতায় আনবো।  সিটির সকল এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের কাজে হাত দিবো। এর একটাই লক্ষ, সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা।

সাবেক মেয়ন মোস্তফা বলেন, রংপুরে আওয়ামীলীগের কোন জনপ্রতিনিধি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন পুস্তক প্রকাশণা করে নি। কিন্তু আমি আমার পরিষদ একসাথে উদ্যোগ নিয়ে রংপুরে বঙ্গবন্ধু  নামের পুস্তক প্রকাশ করেছি।  যেটি ঐতিহাসিক দলির হিসেবে উপস্থাপিত থাকবে আগামী প্রজন্মের কাছে।

এছাড়াও এই নির্বাচনে জাসদ, জাকের পার্টি ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কংগ্রসেস মনোনিত এবং ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নগরীর বিভিন্নস্থানে গনসংযোগ করেন।  আর সংরক্ষিত কাউন্সিলরে ৬৭ এবং  সাধারণ কাউন্সিলরে  ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২৭ ডিসেম্বর হবে ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটার ও কেন্দ্র সংখ্যা বেড়েছে। গতবছর ১৯৩ টি কেন্দ্র থাকলেও ৩৬ টি বেড়ে কেন্দ্র সংখ্যা হয়েছে ২২৯টি। এছাড়াও এবার স্থায়ী ভোট কক্ষ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ আছে ১৯৩ টি। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনের ভোটার সংখ্যার তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ৩২ হাজার ৫৭৫ জন। গত বছর ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন ভোটার থাকলেও এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনে। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং মহিলা ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।

বাতায়ন২৪ডটকম।সমামা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com