স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
প্রচারণার ৫ম দিনে মঙ্গলবার আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট।নির্বাচনে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া এবং নাগরিক সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করার প্রকল্প হাতে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি। চেয়ারে বসলে সেটি বাস্তবায়ন করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিবো।
রংপুর সিটি নির্বাচনে সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে নগরীর হোসেন নগর, রঘু বাজার, সরেয়ার তল, মাহিগঞ্জ বাজারে গনসংযোগ এবং মনোহর, মেডিক্যাল পূর্বগেট, কুকরুল বাজার, মহব্বত খা এলাকায় পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এসময় তার সাথে ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এসএম ইয়াসীর, যুগ্ম আহবায়ক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, লোকমান হোসেনসহ বিপুল পরির্মান কর্মী ও সমর্থক।
পথ সভা ও জনসংযোগে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, মেয়র থাকাকালীন ৫ বছরে পুরো নগরীকে তিনটি জোনে ভাগ করে প্রতিদিন দুই শিফটের মাধ্যমে ৪০টি গাড়ি দিয়ে ১৪০ টন বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে নগরীকে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলাম মাত্র ৩৬ টি গাড়ি। যার ১-১২ টি মাইক্রো। ৫ বছরে সেটা আমি ৯৮ টিতে রুপান্তরিত করেছি। এখন আর মানুষের ওপর ডিপেন্ট করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টেকসই করা সম্ভব নয়। সঠিক ভাবে হবে না। হয়তোবা ঝাড়ুদার দিয়ে ময়লাটা একজায়গায় একত্রিত করতে পারবো। একখানে জমা করতে পারবো। কিন্তু অন্য কিছু করা সম্ভব হবে না। মেশিন দিয়ে লোড করতে হবে, যেন ১০ গাড়ি ময়লা একবারে যায়। কারণ ময়লা থাকে ফাপা। যখন কমপেক্টের মাধ্যমে চাপ দিলে ১০ গাড়ির ময়লা একগাড়িতে যাবে। তেল খরচ কমে আসবে। কমতেলে বেশি মাল পরিবহন করে আমি ডাম্পিং ইয়ার্ডে নিতে পারবো। আমি যে ১৩ একর ৪০ শতক জমি উদ্ধার কওে ডাম্পিং ইয়ার্ড করেছি। সেখানে আগামী ১০ বছর ময়লা ফেলা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, তবুও এখন যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে ইট ইজ নট পার্মানেন্ট সলিউশন। এটাকে রিসাইকেল করতে হবে। রিসাইকেল করার জন্য ইতোমধ্যেই আমি জাপানের সাথে এবকটা ডিড অব এগ্রিমেন্ট করেছি। তারা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, জৈব সার, গ্যাস তৈরির প্রকল্প ইতোমধ্যেই পাশ হওয়ার অপেক্ষায়। এটা যদি হয়ে যায় তাহলে ওই ময়লা দিয়ে জৈব সার তৈরি করে কৃষি জমিতে ব্যবহার করাতে পারবো। নাগরিকরা একটা নতুন সেবা পাবেন। বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ তৈরি হবে।
এছাড়াও এই নির্বাচনে জাসদ, জাকের পাটির্, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কংগ্রসেস মনোনিত এবং ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নগরীর বিভিন্নস্থানে গনসংযোগ করেন। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলরে ৬৭ এবং সাধারণ কাউন্সিলরে ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২৭ ডিসেম্বর হবে ভোট।
২০১৭ সালে রংপুর সিটি প্রথম মেয়র ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুকে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় মেয়র হয়েছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এবার সেই রেকর্ড ভাঙ্গার লক্ষ নিয়ে প্রচারণায় তিনি।
বাতায়ন২৪ডটকম।।সমামা
Leave a Reply