স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।।
বাতায়ন২৪ডটকম।। প্রচারণা কিংবা আলোচনায় না থাকলেও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। তবে দলের এই সিদ্ধান্তকে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই মেনে নিলেও অনেকে আরও দেখার অপেক্ষার কথা জানিয়েছেন।
বুধবার ( ২৩ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামীলীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডালিয়াকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, এ্যডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এর আগে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।
তবে এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের যে ৫ প্রার্থী রংপুরে দীর্ঘদিন থোকে প্রচারণা ও আলোচনায় ছিলেন তার মধ্যে ডালিয়া ছিলেন না। আওয়ামীলীগের মনোনয়নের জন্য এখানে জেলা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, সাবেক শ্রম সম্পাদক এম এ মজিদ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু দীর্ঘদিন থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এ্যডভোকেট লুৎফা কখনই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এখানে কোন প্রচারণা চালান নি।
মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং প্রচার প্রচারণা চালানো মহানগর সভাপতি সাফিউর রহমান সফি বুধবার বিকেলে জানান, এখনই এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই। দেখি কি হয়।
অপর মনোনয়নের জন্য মাঠে প্রচারনায় থাকা প্রত্যাশী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দুষার কান্তি মন্ডল জানান, আমি সিটি করপোরেশনের প্রতিটি প্রান্তে গত ৫ বছর ধরে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে উন্নয়নের কথা বলেছি। নৌকার পক্ষে গণ জোয়ার তৈরি করেছি। সে হিসেবে আমার বিশ্বাস ছিল আমি মার্কা পাবো এবং জয়লাভ করবো। কিন্তু যেহেতু আমরা আওয়ামীলীগ করি। আমাদের সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তিনি মনে করেছেন আমাকে না দিয়ে ডালিয়া আপাকে দিলে ভালো হবে। তিনি তাই দিয়েছেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এখন আমি ডালিয়ার পক্ষে কাজ করবো।
মাঠে থাকা মনোনয়ন প্রত্যাশী মাটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ জানান, নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক। আমি আমার সমর্থকদেও নিয়ে তার পক্ষে কাজ করবো।
মনোনয়নের জন্য আলোচনায় থাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যডভোকেট রেজাউল করিম রাজু জানান, নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তার জন্য শুভ কামনা ও অভিনন্দন। আশা করি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবাই মিলে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো এবং তিনি বিজয় হবেন ইনশাআল্লাহ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ হবে রংপুর সিটি করপোরেশনে। এ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ ডিসেম্বর। আওয়ামীলীগ ছাড়া এখানে জাতীয় পাটির প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে আমিরুজ্জামানস পিয়ালকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। পিয়াল বুধবার মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন। এছাড়াও লতিফুর রহমান মিলন, মেহেদি হাসান বনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন তুলেছেন। আওয়ামীলীগের মনোনয়নের জন্য প্রচারণায় থাকা এমএ মজিদও মনোনয়ণ ফরম তুলেছেন। অন্যদিকে খোরশেদ আলম গোলাপ ফুল প্রতিকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা
Leave a Reply