স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে পুলিশ এবং কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত দশ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটা এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটায় নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শামীম নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে একটি মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করার জন্য যাচ্ছিল। এসময় একই অভিযোগে জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী খোরশেদ আলমের সমর্থকরা শাপলা চত্বরে মানববন্ধন করছিলেন। কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরে আসলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ।শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ইটপাটকেল নিক্ষেপ। লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে এই ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করার জন্য পরাজিত প্রার্থী শামীমের লোকজন আচরণবিধি ভেঙ্গে শোডাউন নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা তাদের এ নিয়ে বারণ করি। কিন্তু তারা বারণ উপেক্ষা করেই শোডাউন নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা বাঁধা দেয়ায় তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। তিনি বলেন বিধির বাইরে কেউ কোন কিছু করতে চাইলে আমরা জিরো টলারেন্সে তা প্রতিহত করবো।
২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল উত্তর সময়ে বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে ফলাফলের রাতেই কুকরুল এলাকায় বিজিবির একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আড়াইশতাধিক জনতার নামে মামলাও হয়েছে। ওই মামলায় কাউন্সিলর হারাধন রায় হারাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও একই রাতে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলুর বাড়িতে হামলা চালায় অপর কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজাদার সমর্থকরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন বের করলে সেখানে ওই ওয়ার্ডের আর এক কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের সাথে আবারো সংঘর্ষ বাধে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে ইভিএমএ অনিয়মের অভিযোগ এনে গত দুইদিন থেকে রিটার্র্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও ও বিক্ষোভ মিছিল করছে।এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলম।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। এতে সাড়ে ৯৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। আর দ্বিতীয় হন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াসহ ৭ মেয়র প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে।
বাতায়ন২৪ডটকম।।সমামা
Leave a Reply