স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুর মহানগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ফুলুর বাড়িতে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজাদা আরমানের সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে বের করা মানববন্ধনে আবারও হামলা চালিয়েছে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের সমর্থকরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন। বুধবার সন্ধায় নগরীর মহাদেবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে নগরীর মহাদেবপুর এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলু এবং শাহজাদা আরমান উভয়েই ৩ হাজার ১৯৭ করে ভোট পান। এ ছাড়াও ১ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন এমএ রাজ্জাক মন্ডল। এ ঘটনায় ফলাফলে রিটারিং কর্মকর্তা সেখানে পুনরায় ভোট গ্রহণের আদেশ দেন ওই দুই প্রার্থীর মধ্যে। কিন্তু ওই ফলাফলের আগেই নিজেকে বিজয়ী দাবি কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা আরমান ও তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে ফুলুর বাড়ির সামন দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সেখানে একজন বৃদ্ধ ভোটার ফলাফল না হওয়ার আগে বিজয় মিছিল না করার জন্য বারণ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে শাহজাদা ও তার সমর্থকরা কাউন্সিলর ফুলুর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে অন্তত ৭ জন ছূরিকাহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিজেদের নিরাপত্বা নিশ্চিত করা ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার ( ২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নুরপুর মহাদেবপুর এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস সামনে মানববন্ধন করছিল ফুলু সমর্থকরা। এসময় ওই পথ দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন এই ওয়ার্ডের তৃতীয় অবস্থানে থাকা ১ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হওয়া এমএ রাজ্জাক মন্ডলসহ সমর্থকরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটে অংশ গ্রহনের দাবিতে লিখিত আবেদন দিয়ে ফিরছিলেন তারা। মিছিলটি ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্জাক সমর্থকরা ফুলুর মানববন্ধনে হামলা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। খবর পেয়ে বিপুল পরিমান পুলিশ এসে সেখানে উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে দুটি ঘটনার প্রতিবাদেই সন্ধা সোয়া ৬ টায় বুধবার ঘটনাস্থলের পাশে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলু। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী ফুলু অভিযোগ করেন, ফলাফলে আমি এবং শাহজাদা আরমান সমান সমান ভোট পেয়েছি। আমাদের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছে পুনরায় নির্বাচন হবে। সেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু শাহজাদা আরমান ও তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা ভাংচুর করেছে। ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে। বিষয়টি আমি সাথে সাথে পুলিশকে জানাই এবং এজহার দায়ের করি। এলাকাবাসি এবং আমার পরিবার শাহজাদা আরমান ও তার সমর্থকদের এই হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছিলাম। কিন্তু নির্বাচনি আইন বিধিমাল ভঙ্গ করে তৃতীয় প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার দাবিতে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করছে। তারা মিছিল নিয়ে এসে আমার মানববন্ধনে হামলা চালিয়েছে। আমার অন্তত ১০ জন এলাকাবাসি আহত হয়েছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা যেভাবে আমি, আমার পরিবার ও সমর্থকদের ওপর হামলা করছে। তাতে আমি খুবই নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছি। মামলা রেকর্ড করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী সমান ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান, নুরপুরে মঙ্গলবার সন্ধায় নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বুধবারের ঘটনা শোনামাত্রই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। কেউ বিশৃঙখলা সৃষ্টির চেস্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা
Leave a Reply