স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা অভিযোগ করেছেন, বার বার বলা সত্বেও নির্বাচন কমিশন আগে থেকে না নেয়ায় ইভিএম নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়নি। একারণে ভোট পোলিং কম হওয়ার পাশাপাশি নস্ট হবে বেশি।এটি কাংখিত ছিল না।
শুক্রবার রংপুর মহানগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় এলাকায় গণসংযোগকালে এই অভিযোগ করেন তিনি।
মোস্তফা বলেন, আমরা বার বার ইসিকে মক ভোটিং সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির কথা বলেছি। কিন্তু তারা শোনে নি। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পারমিশন নিয়ে প্রচারণার প্রথম দিন ৯ ডিসেম্বর থেকে ডেমো ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোটারদের জনসচেতনা তৈরির কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু কার না কার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আমাদের আচরণবিধির দোহাই দিয়ে সেই কাজ থেকে বিরত রাখে। নির্বাচন কমিশন থেকে ২০ ডিসেম্বর থেকে সচেতনতা তৈরির কথা বলা হয়। কিন্তু তারা তা করে নি। সেকারণে শুক্রবারের মক ভোটিংয়ে কোন সাড়া দেয় নি ভোটাররা। এছাড়াও ভোটারদের মক ভোটিংয়ে আনার জন্য যে প্রচারণা করা দরকার সেটিও নির্বাচন কমিশন করেনি।
মোস্তফা বলেন, আর মাত্র ৩দিন আছে ভোটের বাকি। কিভাবে ৪ লাখ ২৬ হাজার ভোটারের কাছে যাবে ইসি। এটি আমার বোধগম্য নয়। এখন অনেক ভোটার আসবেন না। ভোট পোলিং কম হবে। অনেক ভোট নস্টও হবো। তবুও তিনি ভোটার শিক্ষক কার্যক্রম শুধু কেন্দ্রে নয় হাট বাজার, মোড়, জনবহুল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বেলা সোয়া ১১ টা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে। এরপর তিনি ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত গণসংযোগ করেন। জুমার নামাজ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক, মোড় থেকে পাকার মাথা পান্ডার দীঘি পর্যন্ত গণসংযোগ করেন তিনি। সন্ধ্যার পর থেকে তিনি নুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ লালকুঠির মোড় ও বুড়িরহাটে পথসভায় বক্তব্য রাখেন । এসময় এসময় তার সাথে ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এসএম ইয়াসীর, যুগ্ম আহবায়ক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান নাজিম, শাহীন হোসেন জাকির, ইয়াসিন আরাফাত আসিফসহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ নির্বাচনে তিনি ছাড়াও আওয়ামীলীগ, জাকের পার্টি ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কংগ্রসেস মনোনিত এবং ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নগরীর বিভিন্নস্থানে গনসংযোগ করেন। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলরে ৬৭ এবং সাধারণ কাউন্সিলরে ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২৭ ডিসেম্বর হবে ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্র আরও জানিয়েছে, এবার ভোটার ও কেন্দ্র সংখ্যা বেড়েছে। গতবছর ১৯৩ টি কেন্দ্র থাকলেও ৩৬ টি বেড়ে কেন্দ্র সংখ্যা হয়েছে ২২৯টি। এছাড়াও এবার স্থায়ী ভোট কক্ষ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ আছে ১৯৩ টি। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনের ভোটার সংখ্যার তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ৩২ হাজার ৫৭৫ জন। গত বছর ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন ভোটার থাকলেও এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনে। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং মহিলা ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
Leave a Reply