নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর নগরীর নাজিরেরহাটে আবাসিক এলাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না করে অবৈধভাবে সিএনজি ও এলপি গ্যাসের পাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মেসার্স রওশন ফিলিং স্টেশন কর্তৃক এই পাম্প নির্মাণ করায় ফুসে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে অবৈধভাবে সিএনজি ও এলপি গ্যাসের পাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে গত রোববার মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। একই দাবিতে রংপুরের জেলা প্রশাসক,পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আলীম দুলাল, নাজিরেরহাট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মানিক মিয়া, রক্ত গৌরব ঘাঘট ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনা সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য জুয়েল রানা রতন, মিজানুর রহমান মিজান, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, শিক্ষক বেলাল হোসেন, স্থানীয় মিজানুর রহমান, মোতালেব, জাবেদ আলী, রফিকুল ইসলাম, মাসুদ রানা, শামীমা আক্তার, রাজু ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, মিলন সরকার,আব্দুর রাজ্জাক, আক্তার হোসেন, নুর বক্ত, ফুলু মিয়াসহ অনেকেই। এছাড়াও স্থানীয় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তি বর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, রংপুর নগরীর নাজিরেরহাটে আবাসিক এলাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না করে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে সিএনজি ও এলপি গ্যাসের পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় মেসার্স রওশন ফিলিং স্টেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সিএনজি পাম্পটির মালিক দিনাজপুরের পাবর্তীপুর এলাকার আব্দুর রশিদ। আবাসিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকা হওয়াতে নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তুু সিএনজি ও এলপি গ্যাসের পাম্প মালিকপক্ষ কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। তারা কতিপয় সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।
অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বৈধতা অনুযায়ী সিএনজি ও এলপি গ্যাসের পাম্প স্থাপনের ক্ষেত্রে ৫০০ মিটারের পাশাপাশি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকার মধ্যে এরকম কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সিএনজি ও এলপি গ্যাসের পাম্প নির্মাণ হলে স্থানীয়রা নানা সমস্যায় পড়বেন। কারণ স্থাপনার বিশ মিটার সামনে রয়েছে একটি মসজিদ, ৫০ মিটারের মধ্যে রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট ভবন। আরও ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে কিন্টারগার্ডেন স্কুল ও মাদ্রাসা এবং ৩০ মিটারের মধ্যে অনেকগুলো বসতবাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে স্কুল ও কলেজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।
তাই অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নির্মাণ কাজ বন্ধ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
##রিয়াদ
Leave a Reply