নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাতায়ন২৪ডটকম
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিনসহ ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাররা মিলে পুণরায় ভোট গ্রহণের দাবী তুলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর মুলাটোল এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ভোটাররা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দেন। এসময় মুলাটোল, গুড়াতি পাড়া মুন্সি পাড়া, পাক পাড়া, ইঞ্জিনিয়ার পাড়া, গোমস্ত পাড়াসহ এই ওয়ার্ডের কয়েকশত নারী পুরুষ ভোটার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়।
এসময় জেপলিন বলেন, আমি ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করি। ভোট গ্রহন চলাকালীন সময় নানা ধরনের অনিয়ম ও কারচুপি ঘটে। ৬টি কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ইভিএম গুলো সঠিক ভাবে কাজ করছিল না। কিছুক্ষন পর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল এবং ইভিএম মেশিনের দায়িত্বে ছিলেন তারা ইভিএম মেশিন গুলোকে ঝাকি মেরে পুনরায় চালু করে থাকে। বিশেষ করে ৬টি মহিলা কেন্দ্রে এ ঘটনা গুলি ঘটে। সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের কে ১ ঘন্টা দারিয়ে রেখেও পোলিং এজেন্টদের কার্ড প্রদান করা হয় নাই এবং ইভিএম গুলি পরিদর্শন করতে দেয়া হয় নাই। পোলিং এজেন্টের চিৎকারে পরে তাহারা তাদের পোলিং এজেন্টের কার্ড দেয়।
তিনি আরও বলেন, এতো দেরিতে পোলিং এজেন্টদের কার্ড প্রদান করার কারন কি তা আমার বোধগম্য না। ইভিএম মেশিনগুলো সঠিক ভাবে কাজ না করায় প্রতি জনের ভোট প্রদান করতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করে লেগেছে। আবারও কারো কারো ক্ষেত্রে প্রায় ১ ঘন্টার উপরে সময় লেগেছে। এতে সময়ের ব্যঘাত ঘটে। বিশেষ করে যারা আমার ভোটার ছিল, ঠেলাগাড়ী প্রতীকে ভোট প্রদান করবে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন ভোটার এর অধীক আঙ্গুলের ছাপ না মিলার বাহানা করে তাদেরকে ভোট প্রদান থেকে বিরত রাখে এবং তাহাদের সঙ্গে স্মার্ট এনআইডি কার্ড থাকা সত্যেও ভোট প্রদান করতে দেয়া হয় নাই এবং প্রত্যেক কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তাদেরকে এই বলে আশ্বাস করে যে, বিকাল ৩টার পর তাদের ভোট প্রদান করার সুযোগ করে দিবে। কিন্তু পরে তাদের আর ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। সে কারনে অধীক সংখ্যাক ভোটার হয়রানীঢর শিকার হয়ে ভোট কেন্দ্র হতে চলে যায়। ২০নং ওয়ার্ডের গুরাতি পাড়া ভোট কেন্দ্রে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করে থাকে, কিন্তু পর্যাপ্ত আলোর কোন সু-ব্যবস্থা না থাকায় ইভিএম মেশিনের প্রতীক সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যায়নি।
উপস্থিত জনগনের অসুবিধা ও চিৎকার এর কারনে নির্বাচন পরিচালনার একজন সদস্য মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ভোট গ্রহন করতে থাকেন। সে কেন্দ্রে আমি প্রার্থী একজন ভোটার ছিলাম, আমি সহ ২০০ থেকে ২৫০ জনের ভোট প্রদানের সমস্যার সৃষ্টি হইয়া ছিল। যাহা নির্বাচন ভোট প্রদানের ভীষণ ভাবে সমস্যার সৃষ্টি হইয়া ছিল।
জেপলিন আরও বলেন, আমি বিকাল ৩টা থেকে ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত গুরাতি পাড়ার ১ টি পুরুষ কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম রাব্বিকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত তাকে আমি খুজে পাই নাই। সার্বক্ষনিক তাহার রুমের দরজায় তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন শেষ করে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তাৎক্ষনিক ফলাফল দেয়ার নিধান থাকলেও তিনি কি অজ্ঞাত কারনে রাত ৯টার গুরাতি পাড়া ও মুলাটোল এর ২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করিয়াছেন। তাহা আমার বোধ গম্য নয়। আমি এ নির্বাচন এর ফলাফল সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাক্ষান করছি এবং পুনরায় নির্বাচনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে গত বুধবার রাতে নগরীর মুলাটোল পুকুরপাড়ে হাজার হাজার কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ করে। রসিক নির্বাচনে ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিনের সমর্থকদের মাঝে ভোট কারচুপি ও ইভিএম নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply