রংপুরে দলে দলে মিছিলে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই সাথে ট্রানজেণ্ডার সম্প্রদায়ের লোকেরাও মিছিলে মিছিলে এসেছে সমাবেশ স্থলে।
হিজড়াদের মূল সম্প্রদায় নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল নিয়ে এসেছে সম্প্রদায়।
কুড়িগ্রাম থেকে আশা ট্রানজেন্ডার সম্প্রদায়ের পাখি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা আমাদের মা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে তাই আমাদের মায়ের উদ্দেশ্যেই এই আনন্দ মিছিল।
অপরদিকে কুড়িগ্রাম থেকে আসা সম্প্রদায়ের ঝুমকা বলেন, আমরা এই সরকারের সময়ে আমাদের অধিকার পেয়েছি, সমানভাবে কথা বলার জায়গা পেয়েছি।
মহাসমাবেশ বিকেলে হলেও, সকাল থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হতে শুরু করেছে রংপুর জিলা স্কুলের আশপাশ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) মধ্যরাত থেকেই রংপুর মহানগরীতে গণমানুষের ঢল থেকে ভেসে আসে ‘শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম’ স্লোগান। সকাল ৮টা থেকে সভাস্থল নগরীর ঐতিহাসিক রংপুর জিলা স্কুল মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে রঙিন টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আসতে শুরু করেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রংপুর মহানগরী। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। নগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ রুট গুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার রংপুরে আসছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী । এরপরই রংপুর বিভাগ, রংপুর সিটি করপোরেশন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিশ্রুতির আলোকে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন রংপুরের পুত্রবধূ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেলিম সরকার রংপুর।
Leave a Reply