স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর
বাতায়ন২৪ডটকম।।
কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশের প্রচাপত্র বিলি করার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা নিয়ে রংপুরে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ ও বিএনপি পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ( ২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু ওজেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুর নেতৃত্বে বিকেলে প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে প্রধান সড়কে উঠতে চাইলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশের লাঠিচার্জের কাছে ঠিকতে না পেরে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় ২ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন।
রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুজ্জামান লাকু অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বিএনপির শান্তিপুর্ন বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ পন্ড করে দিয়েছে। পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে অন্তত আমাদেও ১৫ নেতাকর্র্র্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। নয়নকে পুলিশ বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যা করেছে। প্রয়োজনে সব নেতাকর্মী আমরা জীবন দিবো কিন্তু রাজপথ ছেড়ে দিবো না। তিনি পুলিশী লাঠিচার্জেও নিন্দা জানিয়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
তবে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান জানান, অনুমতি না থাকায় তাদেরকে সড়কে আসতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ কওে তাদেও ছক্রভঙ্গ করা হয়েছে। তিনি জানান, কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে আমরা কোন ছাড় দিবো না।
অন্যদিকে দুপুর সাড়ে ১২ টায় একই ভাবে মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে সড়কে উঠতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এসময় বাকবিতন্ডা হলেও সংঘর্ষ বাঁধে নি। পরে সেখানেই সমাবেশ করে নয়ন হত্যার প্রতিবাদ জানায় মহানগর বিএনপি।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা
Leave a Reply