স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুর মহানগরীর দমদমা ব্রিজের পাশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্রেনেড সদৃশ বস্তু জব্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে বস্তুটি উদ্ধার হলেও রোববার বেলা দুইটা পর্যন্ত সেটি নিয়ে যায়নি কোন কর্তৃপক্ষ। দুইদিন ধরে পুলিশি পাহারায় গামলার পানিতে সংরক্ষিত আছে সেখানে। তবে পুলিশের পক্ষ হতে খবর দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি নাজমুল কাদের জানান, দমদমা ব্রিজের পাশে পানিতে কাজ করার সময় তাহমিনা নামের এক গৃহবধূ শুক্রবার সকালে ওই গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পেয়ে প্রথমে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বস্তুটি গরম হয়ে গেলে জুমার নামাজের পর ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে থানায় জানানো হয়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গ্রেনেড সদৃশ ওই বস্তুটি জব্দ করে করে বধ্যভূমির পাশে গামলার পানিতে রেখে দেয়া হয়েছে।
ওসি আরো জানান, ঐদিনই আদালতের আদেশসহ সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বস্তুটি সেখানে এখন পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন হ্যান্ড গ্রেনেড সদৃশ্য বস্তুটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নাকি আগের সেটি সেনাবাহিনীর ডিসপোজাল টিম আসার পরেই বোঝা যাবে।
উদ্ধারকারী স্থানীয় তাহমিনা নামের গৃহবধূ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া বারোটায় জানান, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দমদমা ব্রিজের নিচে ঘাগোর নদীতে কাজ করতে গিয়ে পানির মধ্যে ওই জিনিসটি পাই। তখন সেটি শ্যাওলা দিয়ে মোড়ানো ছিল। আমি পাথরের শিল মনে করে বাড়িতে নিয়ে যাই। এরপর শ্যাওলা গুলো পরিষ্কার করার পর সেটি গরম হয়ে ওঠে। তখন ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে বস্তুটি উদ্ধার করে দমদমা বদ্ধভূমির পাশে গামলার পানিতে রেখে দিয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই সেখানে বস্তুটি পড়ে আছে এবং একজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত দমদমা ব্রিজের পাশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পায়খানার বাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পুঁতে রেখেছিল। সেটি সরকারিভাবে একাত্তরের বদ্ধভূমি হিসেবে পরিচিত।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা
Leave a Reply