শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

রংপুরের দমদমায় উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনী

রংপুরের দমদমায় উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনী

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।

অবশেষে তিনদিন পর রংপুর মহানগরীর দমদমা ব্রিজের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্রেনেড গর্তের ভেতর বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

সোমবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১ টায় সেনাবাহিনীর বিশেষ বোম ডিসপোজাল  টিম বধ্যভূমির অদূরে গ্রেনেডটি গর্তখুড়ে  মাটি চাপা দেয়ার পর  বিষ্ফোরণ ঘটায়।  খোলা আকাশে ওই গ্রেনেড পরে থাকার বিষযে রোববার সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি নাজমুল কাদের জানান, শুক্রবার সকালে দমদমা ব্রিজের পাশে পানিতে কাজ করার সময়ে তাহমিনা নামের এক গৃহবধূ  ওই গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পেয়ে প্রথমে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বস্তুটি গরম হয়ে গেলে ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে থানায় জানানো হয়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গ্রেনেড সদৃশ ওই বস্তুটি উদ্ধার করে বধ্যভূমির পাশে পানিতে গামলার পানিতে পুলিশী পাহারায় সংরক্ষেনে রাখা হয়। পরে আদালতের আদেশসহ সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে বিষয়টি জানানো হয়।

সোমবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টায়  সেনা বোম ডিসডোজাল ইউনিটেরিএকটি হেভিওয়েট টিম ঘটনাস্থলে আসে। তারা গ্রেনেডটি ২ ঘন্টা ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। বধ্যভূমির অদূরে একটি খোলা স্থানে গর্ত করে বোমাটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে। পরে বেলা সাড়ে ১১ টায় তারা বিষেশ পদ্ধতিতে গ্রেনেডটি বিষ্ফোরণ ঘটায়। এসময় পুরো এলাকা কালো :ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

গ্রেনেডটি উদ্ধারকারী স্থানীয় তাহমিনা নামের গৃহবধূ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া বারোটায় জানান, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দমদমা ব্রিজের নিচে ঘাঘট নদীতে কাজ করতে গিয়ে পানির মধ্যে ওই গ্রেনেড সাদৃশ জিনিসটি পাই। তখন  সেটি শ্যাওলা দিয়ে মোড়ানো ছিল। আমি পাথরের শিল মনে করে বাড়িতে নিয়ে যাই। এরপর শ্যাওলা গুলো পরিষ্কার করার পর সেটি গরম হয়ে ওঠে। তখন ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে বস্তুটি উদ্ধার করে দমদমা বদ্ধভূমির পাশে গামলার পানিতে রেখে দিয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই সেখানে বস্তুটি পড়ে আছে এবং একজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছে।

ওসি জানান, গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। মুক্তিযুদ্ধের সময় দমদমায় পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত হাজার হাজার মানুষকে ধরে এনে গ্রেনেড ফাটিয়ে হত্যা করেছিল। অনেককে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। সরকারিভাবে দমদমার ওই এলাকাটি একাত্তরের বদ্ধভূমি হিসেবে পরিচিত।

।। বাতায়ন২৪ডটকম।।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com