বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

মির্জা অখরুল মুক্তিযুদ্ধের পর বাবাসহ ভারতে পালিয়েছিলেন : শাজাহান খান

মির্জা অখরুল মুক্তিযুদ্ধের পর বাবাসহ ভারতে পালিয়েছিলেন : শাজাহান খান

রেজওয়ান কবির রণি,   বাতায়ন২৪ডটকম

রংপুরঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও তারা বাবা মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতে চারমাস পালিয়ে ছিলেন দাবি করে আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন,  ‘ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার বাবা কেন মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া পাকিস্তানী ক্যাম্পে আতিথিয়তা নিয়ে তাদের মনোরঞ্জন করেছেন।  তারা  এখন উম্মাদ হয়ে মুক্তিযোদ্ধার দাবিদার।’

শনিবার ( ৫ নভেম্বর) রংপুর জিলা  স্কুল মাঠে জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন,  ‘ আমার কথা ওনার ( মির্জা ফখরুলের) কর্ণগোচর হয় কিনা জানিনা, আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আপনি বলেছেন, পাকিস্তানের সময় ভালো ছিলাম। আমি জিজ্ঞেস করেত চাই। আপনি কি মুক্তিযোদ্ধা?  আপনি বলেন-আমি মুক্তিযোদ্ধা। আপনাকে একটা কথা স্মরণ করে দিতে চাই।   আপনার পিতা মির্জা রুহুল আমীর চখা মিয়া, যিনি মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী গঠিত পিচ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পরে আপনি এবং আপনার বাবা ভারতে গিয়ে সেখানে চারমাস অবস্থান করেছিলেন। আপনাদের আত্মীয় বাড়িতে মানুষ যখন আনন্দে উদ্ভাষিত-উল্লসিত। তখন আপনারা ভারতে পালিয়েছিলেন কেন। আজকে বলতে চাচেছন আপনি মুক্তিযোদ্ধা? ’

মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া পাকিস্তার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আতিথিয়তা গ্রহন এবং তাদেও মনোরঞ্জন করেছিলেন দাবি করে শাজাহান খান বলেন, ‘ আবার সে ( মির্জা ফখরুল) কি বলেন- আমি তাকে উম্মাদ বলবো নাকি কি বলবো আমি জানি না।  উনি ( মির্জা ফখরুল) বলেন, খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি তাকে জিজ্ঞস করতে চাই। যে খালেদা জিয়া পাকিস্তানী সেনাদের ক্যাম্পে গিয়ে আতিথিয়তা গ্রহন করেছিল।  তাদের মনোরঞ্জণ করেছে। সেই মানুষটি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে। আবার কি বলেন, তারেক জিয়া নাকি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। এই যে কথাবার্তা তারা বলে। আমি মনে করি উম্মাদেরও একটি সীমা আছে। সেই সীমা ছাড়িয়ে তারা ( মির্জা ফখরুলরা) দেশে একটা উম্মাদনা সৃষ্টি করে চলেছেন।’

শুধু বিএনপি জামায়াত নয়, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ভাবে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায় উল্লেখ করে শাহজাহান খান বলেন, ‘ আপনাদের প্রতি যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই যুবলীগ দিয়ে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের আমরা নির্মুল করার জন্য প্রস্তুত আছি, কিনা বলেন, হাত তোলেন।  আপনারা বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্মুল করবো। আজকে এদেশের স্বাধীনতা নস্যাত করার জন্য জন্য বিএনপি এবং জামায়তে ইসলামী শুধু নয়,আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় যে শত্রু, যারা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, সমস্ত অপকর্মের নায়ক সেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপশক্তি তারা এখন শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায়।  তারা বলতে চায় , শেখ হাসিনাকে তারা টেনে হেচড়ে নামাবে। আওয়ামীলীগের শেকড় কেটে দিবে। আওয়ামীলীগের শেকড় জনগনের হৃদয়ে পতিত। এই শেকড় উপড়ে ফেলানো যায় না। এই শেকড় এতো গভীরে যা কখনই কেউ উপড়ে ফেলতে পারে নাই। বিগত দিনেও পারে নাই। আজকেও পারবে না। ’

বাতায়ন২৪ডটকম/সমামা

 

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com