স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।
শপথ শেষে রংপুরে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে রংপুর সিটির দ্বিতীয় মেয়াদের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুর মহানগরীর বৈপ্লবিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফান্ডিং করবেন। বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধায় নগর ভবনের সামনে এই দাবি করেন তিনি।
গত ২৭ ডিসেম্বর ১ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বির চেয়ে ৯৬ হাজার ৯০৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নিবাচিত হন মোস্তফা। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীসহ ৭ মেয়র প্রার্থী হারান জামানত। গত ৩১ জানুয়ারী গণভবনে শপথবাক্য পাঠ করান মেয়রকে।শপথ শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওয়ানা দিয়ে রংপুরের দমদমায় আসেন বিকেল চারটায়। সেখানে আগে থেকেই কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও নগরবাসি উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দিয়ে তাকে নিয়ে নগর ভবনের দিকে রওয়ানা দেন তারা। এসময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আহবায়ক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও মহানগর সিনিয়র সহ সভাপতি লোকমানে হোসেন, সিনিয়র সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, মেয়র কণ্যা জারিন তাসনিম প্রমুখ।
পথে পথে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মেয়র মোস্তফাকে ফুল ও মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। খোলা জিপে মেয়রও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান নগরবাসিকে। ১০ মিনিটের পথ দেড় ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে তিনি সাড়ে ৫ টায় পৌঁছান নগরভবনের সামনে। সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী রুহুল আমীনের নেতৃত্বে কর্মচারিরা। ১৯ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিবেন তিনি। উষ্ণ অভ্যর্থনায় নগরবাসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মোস্তফা।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে বলেছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যে দলেরই হোক না কেন, তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফান্ড দেবেন। আমি আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিমান্ড অনুযায়ী ফান্ডিং করবেন। যা দিয়ে রংপুরের উন্নয়নে আগামী ৫ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটনার চেস্টা করবো।
তিনি বলেন, বিগত ৫ বছরের চেয়ে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও সততার মাধ্যমে আমি সিটি পরিচালনা করবো। আমার দরজা খোলা থাকবে সব সময়। যেকেউ যে কোন সময় আমার কাছে এক্সেস পাবেন। তবে আনডিউ কোন এ্যডভাটনেস আমি কাউকেই দেবো না। নিয়মের মধ্যে থেকে দুর্নীতিমুক্তভা সিটি করপোরেশন পরিচালনায় আমি আগের মতোই জিরো টলারেন্সে থাকবো। তিনিতার বিজয়কে নগরবাসির সেবায় উৎসর্গ করেন।
বাতায়ন২৪ডটকম।
Leave a Reply