স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর, বাতায়ন২৪ডটকমঃ দুঃসময় কেটে না যাওয়া পর্যন্ত মানুষকে সহ্য করার আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম যে খুব বেড়েছে তা নয়, তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। সেকারণে কস্ট হচ্ছে মানুষের। তেলের কমানো দামের প্রভাব বাজারে না পরার বিষয়টি ভোক্তা অধিকার মনিটরিং করছে। পাশাপাশি আগামী বছরে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেন খাদ্যের কোন সংকট না হয় সেই লক্ষে সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রী।
শুক্রবার ( ২১ অক্টোবর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদেও সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছলে সেখানে তাকে শ্লোগানের সাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা। শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসনের পক্ষে ডিসি আসিব আহসান। সেখানেই গার্ড অব অনার দেয় পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম সেভাবে বাড়েনি। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, মানুষের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ কওে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন ‘ ওভারওল জিনিসপত্রের দাম তো গ্লোবালি বেড়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে। টাকায় প্রভাব পড়েছে। তবে আমরা যদি বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আনি, তাহলে আমাদের জিনিসপত্রের দাম যে খুব বেশি তা নয়, তবে স্বাভাবিকভাবে যেটা থাকার কথা ছিল। সেটার থেকে বেড়েছে। বিকোজ অব বৈশ্বিক সমস্যা। মানুষের খুব কস্ট হচ্ছে। আমার সাজেশনটা হচ্ছে যে, এটা বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারনে এই অবস্থাটা তৈরি হয়েছে। এটা সহ্য করতে হবে। আশাকরি দুঃসময় কেটে যাবে আমাদের।’
আসন্ন বিশ্বমন্দা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ মূলত আমাদের খাদ্য সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। যেমন কৃষি মন্ত্রণালয়কে মাননীয় পধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন-যেন আমরা এক ইঞ্চি জমিও কোথাও অনবাদি না রাখি। যাতে করে খাদ্য সমস্যা না হয়। এছাড়াও সরকার যেখানে খরচ কমানো দরকার, যা পিছিয়ে দেয়া দরকার তা করছে। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রস্তুত আছেন। আমরা যেহেতু বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার। সেকারণে আমাদের সমস্যা হতেই পারে। সেটা সবাই মিলে ফেইজ করতে হবে। আমরা মনে করি আমাদের বিপদটা আমরা এ্যাড্রেস করতো পারবো।’
সয়াবিন তেলের দাম কমানো হলেও বাজারে প্রভাব না থাকার ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ প্রতিমাসে মাসে মাসে আমরা তেলের দাম রিভিউ করি। সেই হিসেবে ট্যারিফ কমিশন আমাদের দর ফিক্সআপ করে দেয়। সেই বিবেচনায় তেলের দাম কমানো হয়েছে। এখন সেটা যদি বাজারে না কমে থাকে, সেটা আমরা দেখবো। আমাদের ভোক্তা অধিকার আছে তারা দেখবে। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ি সুযোগ নিচ্ছে। তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কমেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাজারে নতুন দাম ঠিক করে দিয়েছি। এখন আপনাদেও (মিডিয়ারও) প্রচার করা দরকার দাম কমেছে। আমরাও বিভিন্ন হ্যান্ডস দিয়ে এটা ঠিক করবো। কাজ চলছে এবং ভোক্তা অধিকার বাজারে নেমেছে। এটা নিয়ে তারা কাজ করছছে।’
দুইদিনের রংপুর সফরে বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর ছাড়াও তার নির্বাচনী আসন কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন করবেন।
বাতায়ন২৪ডটকম/সমামা
Leave a Reply