স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর। বাতায়ন২৪ডটকম।।
আন্দোলনের মাঠে থাকা হামলা মামলার শিকার এবং বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দি ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাতকারীদের কমিটিতে রাখা এবং জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে কমিটি করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে রংপুরেরে পীরগাছা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সোমবার ( ৩ এপ্রিল) দুপুরে পীরগাছা রহিম উদ্দিন ভরসা মহাবিদ্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পীরগাছা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান রেজা। এসময় সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ান আলী বাবলু, ছাওলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাজির হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেসসহ কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন আরও বলা হয়, আওয়ামী দুঃশাসনে মামলা হামলা নির্যাতিত ছাত্র, যুব এবং জ্যেষ্ঠ ত্যাগীনেতাদের বাদ দিয়ে করা এই আহবায়ক কমিটি। এটা আমরা মানি না। বিশেষ করে সদস্য সচিব খন্দকার মতিয়ার রহমানকে সাথে নিয়ে বিএনপি করার কোন সুযোগ নেই। তাকে অযোগ্য ও সুবিধাবাদি নেতা বলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২১ মার্চ ঘোষিত আহবায়ক কমিটিতে ত্যাগী, সৎ, নিবেদিত নেতাদের মূল্যয়ন করা হয় নি। সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে জুনিয়ার ব্যক্তিকে বিভিন্ন পদে রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পীরগাছার ছাওলা ইননিয়ন পরিষদ থেকে ৫ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছাওলা ইউনিয়ন এবং পীরগাছা উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পদে এবং বর্তমানে জেলা বিএনপির আহবায়ক রয়েছেন নাজির হোসেন, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি, পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন রেজওয়ান আলী বাবলু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন শরিফুল ইসলাম ডালেস, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন এর মতো নেতাদের বাদ দিয়ে জিল্লুর রহমানকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও খন্দকার মতিয়ার রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। যেটা কোনভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত হয় নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ৯ ইউনিয়নে ২৫ বছর ধরে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকেও বাদ রাখা হয়েছে। যাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে তারা সুবিধাবাদি। তারা আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে রাজনীতি করে। অথচ যারা মামলা খেয়েছে, জেল খেটেছে। হামলার শিকার হয়েছে। এখনও যারা মাঠে কাজ করছে তাদের কমিটিতে রাখা হয় নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিটি গঠনের আগে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সাথে পরামর্শ করে কমিটি করার জন্য। কিন্তু সেটা করা হয় নি। সেকারণে এই জটিলতা শুরু হয়েছে। বিষয়টি জেলা, কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। অবিলম্বে কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে যোগ্যদের যোগ্য স্থানে সংযোজন করা না হলে পদত্যাগসহ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
এ ব্যপারে রংপুর জেরা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। যাছাই বাছাই করে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলো যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা।।
Leave a Reply