সাজু মিয়া,লালমনিরহাট।।বাতায়ন২৪ডটকম।।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় জুম্মাপার ও নবীনগর-বাউরা সীমান্তে দুই দেশের স্বজনদের মিলনমেলা বসেছে। কালীপূজা উপলক্ষে দুই বাংলার মানুষ তাদের স্বজনদের একবার কাছে থেকে দেখতে ও খোজখবর নিতে ছুটে এসেছেন কাঁটাতারের কাছে।
উপজেলার জুম্মার পার নবীনগর-বাউরা সীমান্তের (মেইন পিলার ৮৪০ এর সাব-পিলারের কাছে) ভারতীয় কুচলিবাড়ী ৪০ বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সীমান্তের দুপাশে দিনভর এ মিলনমেলা হতে দেখা যায় । শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নন, মুসলমান সহ অন্যান্য ধর্মের লোকজনও এসেছিলেন সীমান্তের অপর পার্শ্বের স্বজনদের একপলক দেখতে।
লাঠিতে ভর দিয়ে বর্ষিয়সী হরিমন-সুমতী দম্পতি এসেছেন মেয়ে ফুলমতির সাথে দেখা করতে । কুড়ি বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের কুচবিহারের রানীনগরে । এদিকে ৫বছর পর বাবা-মা কে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ফুলমতি । কাদতে থাকেন ওপারে। দীর্ঘদিন পর দেখা হলেও ছুতে পারেননি বাবা-মা কে ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাটাতারের দুইপাশ থেকে কুশলবিনিময় করছেন স্বজনরা। স্বজনদের অনেকদিন পর দেখতে পেয়ে অনেকে কান্না করছেন । দুপাশের স্বজনদের মধ্যে বিনিময় হচ্ছে খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী।
এ সময় ভারতীয় কুচলিবাড়ী ৪০ বিএসএফ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ থেকে আসা শিশু-কিশোরসহ অন্যদের মধ্যে খাবার পরিবেশন করা হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বালিশের গ্রামের কল্পনা রানী বলেন, ‘তিন বছর পর বোনের সঙ্গে দেখা করলাম এই কাঁটাতারের বেড়ার কাছে। অনেক ভালো লাগছে। প্রতি বছর যেন এভাবে সুযোগ করে দেয় আমাদের দেখা করার জন্য।’
হাতীবান্ধার বড়খাতা থেকে আসা সুদর্শন জানান, ‘ভারতে আমার ভাগনিরা থাকে। তাদের সঙ্গে দুই বছর পর দেখা হলো। অনেক ভালো লাগছে।’
এ বিষয়ে বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাবিউল হক মিরন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কালীপূজায় সীমান্তে মিলনমেলা বসেছে। এতে দুই বাংলার মানুষের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় থাকবে।
Leave a Reply