স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম
আওয়ামীলীগের ইতিহাস হলো তারা যা বলে, তার উল্টো টা করে,ঠিক তেমনিভাবে শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করছে দাবি করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, দেশের মানুষের এখন সুস্পস্ট বার্তা। তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় চায় না। তাদের দাবির প্রতি একাট্রা হয়ে বিএনপি এখন মাঠে। তাদের আর পেছনে ফেরার সময় নেই। গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারর না হওয়া পর্যন্ত আরও ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত তারা।
শনিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা। মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে এবং মহানগর ও জেলা সদস্য সচিব যথাক্রমে মাহফুজ উন নবী ডন ও আনিছুল ইসলাম লাকুর সঞ্চালনায় সমাবেশেষ প্রধানি অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান। বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক বিয়ষক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নওশাদ জামির, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম, বিলকিস ইসলাম, শাহিদার রহমান জোসনা, রংপুর জেলা আহবায়ক সাইফুল ইসলামসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল রংপুরে। বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন গণসমাবেশে। গ্রাণ্ড হোটেল মোড় থেকে শাপলা চত্বর এবং দাবানল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সড়কে বিছানো কার্পেটে বসে অবস্থান নেন। বন্ধ হয়ে যায় মূল সড়কের এক পাশ। অপরপাশে চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। এক পযায়ে রাস্তা থেকে মানুষ অবস্থান নেন সেনপাড়া, গুপ্তপাড়া, কামারপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, আদর্শপাড়া, মুলাটোলসহ বিভিন্ন এলাকায়। রাস্তার একপাশ বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ করায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে সালেক পাম্প পর্যন্ত এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করেত দেখা গেছে।
এসময় বক্তব্যে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গতে কর্তৃত্ববাদি রাষ্ট হিসেবে পরিচিত করেছে। আওয়ামীলীগ এমন একটা মোনাফেক দল, তারা যা বলে, তার উল্টোটা করে। ইতিহাস হলো তারা যা বলে কাজ করে তার উল্টোটা। তারা যা চিন্তা করে তা বলে না। আর যেটা তারা বলে সেটা তারা করে না। তারা আমাদের কর্মসূচির বিপরীতে যে শান্তি সমাবেশ করছে, তার নমুনা তো আমরা দেখেছি। তারা দাঙ্গাভাবে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ মানুষের মোবাইল চেক করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের হেনস্তা করছে। শারীরিকাবে লাঞ্চিত করছে। ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাই তারা শান্তি সমাবেশ কেমন করে সেটা দেশবাসির বোঝা হয়ে গেছে।
গণনসমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান বলেছেন, এদেশের মানুষ একটা সুস্পস্ট বার্তা দিচ্ছে সেটা হলো তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কারণ যে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের রাশ টেনে ধরতে পারে না। যে সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যে সরকারের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। এলসি করা যায় না, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বন্ধ। সেসরকার একদিকে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ধঅবিত করছে। অন্যদিকে মিথ্যাচার করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধারে যত বাঁধা আসুক না কেন। কোন বাঁধাই আমরা মানবো না। আমাদের ১৫ জন লোক এ পর্যন্ত শাহাদাত বরণ করেছেন। ১৫ কনে ১৫ লক্ষ লোকও যদি শাহাদত বরণ করতে হয় তবুও আমরা রাজি আছি। কিন্তু আমরা এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরিয়ে. গণতন্ত্র পূনুরুদ্দার না করে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন না করে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
অবস্থানে আওয়ামীলীগ ও সতর্ক আইনশৃঙখলা বাহিনী: বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে যে কোন ধরণের নাশকতা, সহিংসতা ও অরাজকতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক। জলকামানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় পুরো নগরী জুড়ে। পোশাকীপুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল ছিল গণসমাবেশ স্থলসহ পুরো নগরীর আনাচে কানাচে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু অভিযোগ করেছেন, রাতে পুলিশ লাথি দিয়ে তাদের মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। বিভিন্নস্থানে নেতাকর্মীদের আসতে বাঁধা দিয়েছে। চেক পোস্টের নামে আতংক তৈরি করেছে।
তবে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, মঞ্চ করার কোন অনুমতি তাদের ছিল না। তবুও তারা মঞ্চ করেই সমাবেশ করেছে। আইনশৃংখলাবাহিনী জননিরাপত্বা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থায় মাঠে ছিল।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা
Leave a Reply