স্পেশাল করেসপনডেন্ট, বাতায়ন২৪ডটকম
রংপুর: আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর জঙ্গি ও অগ্নি সন্ত্রাসের বিষয়টি এখন ভোতা অস্ত্র উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন হবেনা। একটাই দাবি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সংসদ বিলুপ্পত করতে হবে। তারপর নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে ৷ বিএনপির সাংসদরা রেডি আছেন নির্দেশ পেলেই পদত্যাগ করবেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাসের ধোয়া তোলা এখন ভোতা অস্ত্র হয়ে গেছে। বিশ্ববাসি তাদের কোন রিপোর্ট আর বিশ্বাস করে না। তাদের এসব রিপোর্ট ভূয়া।’
শনিবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্ব গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বক্তব্য রাখেন গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব ও যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপি, সমন্বয়ক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ আমাদের সোজা কথা তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা আমাদের সাফ কথা। আমাদের দলের সংসদ সদস্যরাও যেকোনো সময় সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।’
দেশের জনগন অধিকার বঞ্চিত উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য। এই হাসিনার বাংলাদেশ দেখার জন্য নয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি ভোট দিয়ে আমাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকার পাবার জন্য। কিন্তু আমরা আজ সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন আগের রাতেই ভোট হয়ে যায়। আমরা আর এমন নির্বাচন হতে দিবো না।’
জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাসের ধোয়া তুলে সরকার আবার ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাসের অস্ত্র এখন ভোতা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের আসল চেহারা সবাই জেনে গেছে। পৃথিবীর মানুষ জেনে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লিখেছে আওয়ামী লীগ সরকার যা বলে সবই মিথ্যা কথা। এই সরকারের মানবাধিকারের রিপোর্ট মিথ্যা। দেশে মানুষের মানবাধিকার নেই। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। সরকার মানুষকে কথা বলতে দেয় না। নির্বাচনের আগে সভা করতে দেয় না। ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয় না। আর কথায় কথায় রামদা, হকিস্টিক, বন্দুক পিস্তল নিয়ে আসে তারা। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর এসব করতে দিবে না। দেশের মানুষ তাদের রুখে দিবে।’
গণ সমাবেশের দিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর আছে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ আজকের এই সমাবেশের দিকে সমগ্র বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এই সমাবেশের দিকে সারা বিশ্বের অনেকগুলো আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর রয়েছে। এখানে আলজাজিরা, বিবিসির সাংবাদিকরা উপস্থিত রয়েছেন। আপনারা (দলের নেতাকর্মীরা) তিনদিন ধরে অমানবিক পরিশ্রম করে, অমানবিক অবস্থায় থেকেছেন। গুদাম ঘরে, রাস্তাঘাট-ফুটপাতে থেকেছেন। কেউ নৌকায় করে এসেছেন, বাইসাইকেল চালিয়ে এসেছেন। আমি আপনাদের কষ্ট দেখেছি।’
সরকার জনগন এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয় পায় বলেই দুইদিন আগে পরিবহন বন্ধ করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেনন, ‘ সরকার নাকি বিরোধি দলকে ভয় পায় না। সরকার নাকি জনগনকে ভয় পায় না। ভয় না পায় তাহলে দুইদিন আগে গাড়ি বন্ধ করে দিলে কেন? খুুলনাতে গাড়ি বন্ধ করে, ট্রলার উল্টে দিয়ে মানুষকে চাপাতি-রামদা দিয়ে মারছে কেন? কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারো?’
আওয়ামীলীগ বাংলাদেশ খাওয়ার পায়তারা করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ এই সমাবেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সমাবেশ। একটা মানুষ, একটা দল গত পনেরো বছর ধরে আমাদেরকে দমন নিপীড়ন নির্যাতন করছে। সমস্ত দেশটাকে তারা কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে। এখন বাংলাদেশেকে খাওয়ার পায়তারা করছেন। ‘
আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বিএনপির সব অর্জন ধংস করার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘ এই সমাবেশের লক্ষ্য একটাই, হাসিনা কবে যাবে? এই সরকার কবে যাবে? লুটপাট কবে যাবে। দাবি একটাই, এই সরকারের পদত্যাগ। গত ১৫ বছরে এই আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের যত অর্জন ছিল যত স্বপ্ন ছিল সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। যে দিকে তাকাবেন খালি খালি চুরি চুরি আর চুরি।’
সরকারকে মুন্তাসি ফ্যান্টাসি নাটকের সাথে তুলনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ এখন বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ সব ভাতাতে ভাগ নেয় আওয়ামী লীগ। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট তৈরি করতেও তারা এখন টাকা চুরি করে। এমনকি গরীবের আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করছে। তারা সর্বলুট করছে। সব খেয়ে ফেলছে। আর কিছু বাকি রাখে নাই। সরকার এখন মুন্তাসি ফ্যান্টাসি নাটকের মতো সবখেয়ে ফেলছে।’
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘ এই সরকার আমাদের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে তাকে নির্যাতন করে। তিনি অসুস্থ হওয়ার কারণে বিদেশে চিকিৎসার জন্য চলে গেছেন। এখন তাকে আর দেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করা হয়েছে। আমাদের ৬০০ নেতা-কর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। আলেম-ওলামাদেরও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। এদের কী আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায়?’
দুর্ভিক্ষ হলে তার দায় সরকারের দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ যারা দেশকে ধ্বংস করছে। মানুষকে ধ্বংস করছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করছে। যারা এই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেয় তাদেরকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না। আজকে দেশ একটা কঠিন দুঃসময় পার করছে। আমরা কোথায় যাবো? এখন জোর করে ক্ষমতায় থাকা অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। দুর্ভিক্ষ হলে মানুষ কোথায় যাবে। যদি দেশে দুর্ভিক্ষ হয় তার জন্য সমস্ত দায় দায়িত্ব নিতে হবে শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে।’
৪২ ভাগ মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে কেন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে একটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। রংপুর স্টেশনে মানুষেরা না খেতে পেরে পড়ে থাকত। খাবার না পেয়ে মারা যেত। কুড়িগ্রামের চিলমারীর বাসন্তী তার লজ্জা নিবরণের জন্য এক টুকরো কাপড় পায়নি। আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগ এতোদিন ধরে কি করল? বাংলাদেশ নাকি মধ্য আয়ের দেশ হয়ে গেছে। বড়লোক হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া কানাডা হয়ে গেছে বাংলাদেশ। তাহলে দেশের ৪২ ভাগ মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে কেন?,
দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে মির্র্জা বলেন, ‘ ১০ কেজির চাল খাওয়াতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। ডাল, ডিম, চিনিসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। শাকসবজি কিনতে গিয়েও মানুষ বাজার থেকে ফিরে আসছেন। আগে যে মানুষ একটু ভালো মন্দ খেতো, এখন সেটাও শেষ। মানুষ কি খেয়ে থাকবে ? ’
সরকার প্রধানের ধৈয্য ধরার আহ্বান প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ দেশের জনগণকে ধৈয্য ধরতে বলছেন প্রধানমন্ত্রী। অল্প খেতে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে বলছেন। দিনে বিদ্যুৎ থাকবে না, রাতে ফ্যান চালাবেন না। এসব আমাদের বলছে সরকার আর তারা খাচ্ছেন চিতল মাছ। আমরা দেখছি আপনারা ঘন ঘন বিদেশ যাচ্ছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে বিদ্যুৎ চালিয়ে আরাম আয়েশ করছেন। আর দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। যারা কৃষি কাজ করছেন তারা সেচের পানি পাচ্ছেন না। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যের শুরুতেই আঞ্চলিক ভাষায় দলের উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ কেমন আছেন বাহে? ভালো আছেন তো? আমরা রংপুর ডিভিশনের ছাওয়া। আমরা ভালো থাকিমো। শত অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নকে জয় করে আমরা বাহের দেশের মানুষ ভালো থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
গণসমাবেশের প্রধান বক্তা হিসেবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ রংপুরে গত দুদিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। তারপরও হাজার হাজার মানুষ ধর্মঘট উপেক্ষা করে রংপুরে এসেছেন। তারা পুরো রংপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। হরতাল তো দেয় বিরোধী দল। কিন্তু সরকার এখন হরতাল দিচ্ছে। তাহলে বুঝতে হবে দেশের অবস্থা কোথায়? আসল ব্যাপার হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাথে বাংলাদেশের মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের নির্ভরশীলতা পেটুয়া বাহিনীর উপর।’
খসরু বলেন, ‘ এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। ১০ কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাকসবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘ আজ রংপুর শহর মুখরিত। রংপুরের মানুষ প্রমাণ করেছে জনতা বিক্ষুব্ধ হলে কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারে না। তারা জানান দিচ্ছে আওয়ামী লীগের সময় শেষ। বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। জ্বালানি ঘোড়ার মতো ছুটছে। আমরা জনগণের পাশে থেকে কাজ করব।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী টুকু বলেন, ‘ যুদ্ধে জয়লাভ করলাম আমরা, ক্ষমতায় বসল আওয়ামী লীগ। দেশ তারা ফাঁকা করে দিয়েছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। বর্তমান দেশের ভিত্তি জিয়াউর রহমান করেছেন। আওয়ামী লীগ বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করেছিল। পরে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।’
তিনি বলেন, ‘ বাকশালী আওয়ামী লীগ আবার গণতন্ত্রকে একনায়কতন্ত্রে প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনার সরকার দিনের ভোট রাতে করে লুট করে নিয়েছে। এখন তারা জোর করে ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের নামে জনগণের সঙ্গে ধোকাবাজি করছেন। কিন্তু এর আড়ালে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে।’
আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জোকারি বাদ দেয়ার আহবান জানিয়ে যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ এমপি বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই কয়েকদিন থেকে খেলা দেখাবো বলছে খেলাধুলা দেখানোর নামে এসব নাটক বন্ধ করুন। আমরা আগে নাটক সার্কাসে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্যারেক্টার জোকার দেখতাম। এসব জোকারি বাদ দেন, ধানাই- ফানাই বাদ দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ ১০ তারিখে নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা হবে। আমরা গত ১০ দিন রংপুরের প্রত্যেকটি আনাচে কানাচে ঘুরেছি। এই সরকারের প্রতি মানুষের আত্মবিশ্বাস নেই। সরকারের কাছে বিপন্ন মানুষের জান মাল বিপন্ন বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবতা ও স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই আমরা নিয়েছি বাংলাদেশের পতাকা রক্ষার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছে তা রোধ করার শক্তি কারণ নেই।’ তিনি বলেন, এই সরকার শুধু নির্বাচনের সময় সংবিধানের দোহাই দেয়। কিন্তু যখন মানুষের মানবাধিকার হরণ করে, যখন মানুষকে খুন কওে, তখন মানবতা গণতন্ত্র কোথায় থাকে। গাইবান্ধার নির্বাচনে আমরা দেখলাম ইভিএম মেশিনের ডিজিটাল ভোট চোরদের কাহিনী। এখনো তাদের বদলি করা হয়নি। এখনো তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। এই নির্বাচন কমিশনার চোর ডাকাতের সরদার।’
বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সমাবেশ হওয়ার কথা আজকে হলেও দুই তিন দিন আগে থেকেও নেতাকর্মীরা এখানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে এ থেকে প্রমাণিত হয় তারা এখন রাস্তায় শুয়ে থাকার জন্য প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব কয়েকদিন আগে বললেন খেলা হবে। দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। তার মানে তিনি আমাদের আন্দোলনে যুক্ত হবার জন্য পাঁয়তারা করছেন।
দুল আরও বলেন, ‘ শ্রীলংকার নেতারা পালানোর সময় তো জাংগিয়া নিয়ে যেতে পেরেছিল কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা সেটি নিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পাবে না। আগামী দিনের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।’
বাতায়ন২৪ডটকম/সমামা
Leave a Reply