স্টাফ কনেসপেন্ডেন্ট:
বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ কর্মসূচি অসহায় ও দুস্থ নারীদের জন্য ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বরাদ্দের নিয়ম থাকলেও রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নে মোটা অংকের টাকা ছাড়া কোনভাবেই মিলছেনা এই সেবা।
গতকাল ৪ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার বড়বিল ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ এর টাকা ছাড়া পাচ্ছে না ভিজিডি কার্ডের চাল বেশি টাকা দেওয়ায় অশিক্ষার করলে মারপিট এরও অভিযোগ আছে।
ভুক্তভোগী নাছিমা বেগম এর স্বামী ওয়াসিম মিয়া বলেন, ভিজিডি কার্ডের চাল নেয়ার জন্য অনেক অনেক আগে আমি একটা রশিদ নিয়েছিলাম একশত টাকা দিয়ে , তারা বলেছিল এটা হবে না তাই আমি গতকাল একটা রশিদ নিয়েছি তারপর ও ওনি আমাকে আজকে আবার রশিদ নিতে বলতেছে আমি রশিদ না নেওয়ায় কথা বললে মাসুদ চৌকিদার (গ্রামপুলিশ)চড়াও হয়ে আমার গলা ধরে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে।
আর একজন বলেন ,আমাদের কাছে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে যদিও রশিদ দিয়েছে ৩০০ টাকার।
নুরবানু নামে এক মহিলা বলেন, আমাদের কাছে ৩২০ টাকা করে নিচ্ছে তাছাড়া আবার বস্তা প্রতি ২০ টাকা ।
সরেজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৯২৮টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩নং বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদে দুঃস্থদের মাঝে ৩১৭টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে আবার বস্তা প্রতি ২০ টাকা করে নিচ্ছে এমন অভিযোগ ও সকল ভুক্তভোগীর। পরিষদে কর্মরত থাকা লোকজন বলেন ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এটা পরিষদ এর চৌকিদারী ট্যাক্স।
মামুন নামে একজন বলেন, চৌকিদারী ট্যাক্স কি বারবার আমাদের কাছে নেওয়া হয়।প্রতিবার এ ১০০ টাকা করে নেয় । আর শুধু চৌকিদার ট্যাক্স কি আমাদের কাছে নিবে যারা ভিজিডি কার্ডের ভুক্তভোগী।অন্য জনগণের কাছে ও চৌকিদার ট্যাক্স নেওয়া হয় না।
নীতিমালা অনুযায়ী,দায়িত্ব অনুযায়ী আয়ের পথ সুগম করতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের অনুমোদন লাভের পর ইউনিয়ন পরিষদকে কর আরোপ ও আদায়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক্স নির্ধারণ কমিটি তৈরি করতে হবে। রেজল্যুশন করে সেই ট্যাক্স তুলতে হয়। টিনের চালা ২০ টাকা, টিনের বাড়ি ৪০ ও পাকাবাড়ির ৫০ টাকা করে ট্যাক্স নেওয়া হয় হ। উপযুক্ত রসিদ দিয়ে সেই টাকা তুলতে হয়। কিন্তু গরিব মানুষের কাছে ১০০ বা ২০০ টাকা করে নেওয়া কোনো ট্যাক্স আদায়ের আওতায় পড়ে? এই উদ্যোগকে নেতিবাচক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।
বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদ চৌধুরী দ্বীপ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি নই।
এবিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার বলেন,চাল বিতরণে কোন টাকা নিতে পারবে না। বস্তা প্রতি ও কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই । যদি তারা চৌকিদার ট্যাক্স নেয় ওটা তাদের বিষয় । তারা শুধু তাদের সঞ্চয় ২২০ টাকা দিয়ে চাল নিতে পারবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply