হারুন অর রশিদ সোহেল,বাতায়ন২৪ডটকমঃ
রংপুরঃ চার বছর পর উম্মোচিত হলো নীলফামারীর ডিমলায় চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা জাহানার বেগমের (৭২) হত্যার রহস্য। তাকে হত্যা করেছিল তার নিজের পুত্র আব্দুর রহিম। অবশেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রহিমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পিবিআই সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার রুপাহারা গ্রামের মৃত আতাউর রহমান আতা মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৭২) ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তার মেয়ে নাজমা বেগম। এর পর তিনি প্রথমে তাকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রংপুরে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মাসেরই ২৪ আগস্ট জাহানারা মারা যায়। এ ঘটনায় প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল কন্যা নাজমা বেগম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই রংপুরে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক যতীন্দ্রনাথ শর্মা তদন্ত শুরু করেন।
পিবিআই এসপি জানান, তদন্তকালে আমাদের কাছে স্পস্ট হয় জাহানারা ভরনপোষন দেয়ার শর্তে তার নিজ নামীয় ১৭ শতক জমি পুত্র তারা মিয়া এবং ২০ শতক জমি অপর পুত্র আবদুর রহিমকে দলিল করে দেন। জমি লিখে নেয়ার পর আঃ রহিম মায়ের ভরণপোষণ দিচ্ছিল না। এই নিয়ে মায়ের সাথে রহিমের প্রায়শই বিবাদ হতো। ঘটনার দিন রাতে মা জাহানারা বেগমের কানে আসে তার দেওয়া ২০ শতক জমি রহিম বিক্রি করার জন্য দেনদরবার করছেন। তখন জাহানারা রহিমকে জমি বিক্রি করতে নিষেধ করিলে উভয়ের মধ্যে বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রহিম কাঠের ফালি দিয়ে জাহানারার মাথায় আঘাত করেন। এতে সাথে সাথেই তিনি মারা যান। এরপর রহিম পালিয়ে যায়। আমরা তদন্তে বিষয়টি স্পস্ট হওয়ার পর রহিমকে ধরতে চিরুনি অভিযান চালাই। গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মোঃ আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহিম মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পওে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, এটি ক্লুলেস মামলা ছিল। আমরা সেই ক্লু বের করে অপরাধিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা
Leave a Reply