নিজস্ব প্রতিনিধি:
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসা , আলমিবিদিতর সয়ড়াবাড়ী রহিমউদ্দীন দাখিল মাদ্রাসা, পাইকান কুটি আলহাজ্ব তমেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা গুলো সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমত মাদ্রাসা খোলেন ও বন্ধ করেন।
সরকারী বিধি অনুযায়ী, সকাল ১০ থেকে ৪ টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানছে না।
সরজমিনে , গত ১০ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার সময় দেখা যায় কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেছে। এক অভিভাবক জানান, এ মাদ্রাসা প্রতিদিন ১.৩০ মিনিট এ ছুটি হয়। এখানে প্রতিস্ঠানের কোন কমিটি নেই, তারা নিজের ইচ্ছা মত প্রতিস্ঠান খোলেন ও বন্ধ করেন।কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইফুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি রংপুরে আসছি সহকারী সুপারকে দায়িত্ব দিয়ে। সহকারী সুপারকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত বুধবার কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসা ২টার সময় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসাটি বন্ধ পড়ে আছে ।কচুয়া আহমাদীয়া দাখিল মাদ্রাসা নেই কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা।মাঠে ফুটবল খেলেছেন এলাকার ছেলেরা, তাদের জিঙ্গেস করা হলে তারা বলেন, দুইটার সময় মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেছে। মাদ্রাসা সুপার সাইফুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি জানান আমারা মাদ্রাসা ১.৩০ মিনিটে বন্ধ করে চাকরির বেতন তুলতে আসছি।
আলমবিদিতর সয়ড়াবাড়ী রহিমউদ্দীন দাখিল মাদ্রাসা ১৬ আগস্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসাটি বন্ধ পাওয়া যায় এ সময় মাদ্রাসার সুপার সামসুল হকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান আমারা মাদ্রাসা বন্ধ করে চাকরির বেতন তুলতে আসছি।
পাইকান কুটি আলহাজ্ব তমেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা গত ১আগস্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দশম শ্রেণীতে মাত্র চার জন শিক্ষার্থী। অতঃপর ৭ আগস্ট গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে গেছে। মাদ্রাসা সুপার সাদেকুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ আমি মেডিকেলে আছি। হয়তো তারা মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে আমার ছেলেকে দেখতে আসবে।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা অজুহাত মাত্র।মাদ্রাসা বন্ধ করে বেতন তোলার কোন নিয়ম নেই।এরকম যদি কেউ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহনাজ বেগম বলেন,নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজ কোন প্রতিষ্ঠান সুপার করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শীঘ্রই তাদের কার্যক্রম দেখার জন্য আমি পরিদর্শন করব ।
Leave a Reply