নিজস্ব প্রতিবেদক,কুড়িগ্রাম।।বাতায়ন২৪ডটকম।।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে একটি পাতি হাঁসে কালো ডিম দিয়েছে । উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহিম আলীর পাঁচটি দেশীয় জাতের পাতি হাঁসের মধ্যে একটি হাস পর পর দু-দিন দুটি কালো ডিম দিয়েছে । এই খবর ছড়িয়ে পড়লে কালো ডিম দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ ।
ইব্রাহিম নারায়ণপুর ইউনিয়নের প্রামাণিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে । তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত । লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজ করেন ইব্রাহিম ।
ছয়মাস আগে শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঁচটি হাস উপহার হিসেবে পান তিনি । ৬ মাস প্রতিপালনের পর গত ২৯ অক্টোবর একটি হাঁস প্রথম ডিম দেয় । ডিমটি দেখতে কালো রঙের । সেই ডিম দেখে অবাক হয়ে যান ইব্রাহিম । খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ওই ডিম দেখতে ছুটে আসে তার বাড়িতে । পরদিন আবার একই ধরনের আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি । এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের গ্রাম থেকে ডিম দেখতে ছুটে আসে মানুষজন ।
ইব্রাহিম জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে উপহার পাওয়া পাঁচটি হাঁসই দেশীয় প্রজাতির পাতি হাঁস । হাঁসগুলো অতি যত্নে তিনি এবং তার স্ত্রী প্রতিপালন করছেন । পাঁচটি হাসের মধ্যে একটি হাঁসা । অপর চারটি হাঁসি। । । এদের মধ্যে দুটি কালো রং এর হাঁসি রয়েছে । তার একটি এমন কালো ডিম দিয়েছে ।
তিনি জানান, পড়াশোনার তাগিতে বাড়িতে না থাকায় কয়েকদিন থেকে হাঁসগুলো দেখাশোনা করছেন তার অনার্স পড়ুয়া স্ত্রী । ২৯ অক্টোবর (শনিবার) সকালো হাঁসের খোপড়া (বাসস্থান) খুলে দেই । হাঁসগুলো বের হয়ে গেলে একটি কালো ডিম সেখানে পড়ে থাকতে দেখতে পাই । প্রথমে ডিমটি দেখে অবাক হই এবং ভয় পেয়ে যাই । পরে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ডাকি এবং ডিমটি বের করে আনি । পরদিন ৩০ অক্টোবর রোববার একই ধরনের আরেকটি ডিম পারে হাঁসটি । এই খবরে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে দূর-দুরান্তের গ্রাম থেকেও মানুষ এক নজর ডিমটি দেখতে আমার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে । তিনি আরও জানান, হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয় । এছাড়া প্রাকৃতিকভাবেই সেগুলো প্রতিপালন হচ্ছে ।
হাঁসের কালো ডিম দেওয়ার খবর পেয়ে ছুটে আসেন ইব্রহিমের বড় ভাই আব্দুল মজিত । এ ডিম দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এর আগে এমন ডিম দেখেননি তিনি । সচারচর হাঁসের সাদা ডিমই হয় ।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়ণপুরে পাতি হাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদটি পেয়েছি । এটি একটি বিরল ঘটনা । এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার । কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, হাঁসের জরায়ুতে কোনো ইনফেকশন থাকার করণে এমন হতে পারে । এছাড়া ডিম তৈরির যে পরিমাণ পিগমেন্ডের দরকার তা যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি হাঁস কালো ডিম দেয়। সেই ডিম নিয়েও এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দুদিন ধরে ওই ডিম দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করে হাঁসের মালিক তাসলিমা বেগমের জিন্নাগত ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে । দুটি কালো ডিম দেওয়ার পর ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয় হাঁসটি ।
বাতায়ন২৪ডটকম/আশা
Leave a Reply