বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

একুশে পদক পেলেন বদরগঞ্জের মজিবর রহমান 

একুশে পদক পেলেন বদরগঞ্জের মজিবর রহমান 

সেলিম সরকার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বাতায়ন২৪.কমঃ-

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের  ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিকও ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে এ বছর( ২০২৩ সালে)  একুশে পদক দেয়া হচ্ছে। এই বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে  ভাষা আন্দোলনে পদক পাচ্ছেন তিনজন। তার মধ্যে একজন গুণী শিক্ষক হাজী মো. মজিবর রহমান।

 

তার বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কুতবপুর ইউনিয়নের খিয়ারপাড়ায়।

গতকাল রোববার ১২ ফেব্রুয়ারী এ পদক ঘোষণা করা হয়।

 

যুব সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি সেরকম তারা যেন ১৯৪১ সালে দেশকে বিশ্বের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করে।

 

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্হা সম্পর্কে বলেন” দেশকে উন্নত করার জন্য শহরকেন্দ্রিক শিক্ষার ব্যবস্থা করলে হবে না, সমস্ত গ্রাম পর্যায়ে শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে”।

 

ভাষা আন্দোলনের বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন “বদরগঞ্জ হাই স্কুল অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি ১৯৪৮সালে ঢাকা গিয়েছিলাম কায়েজ আজম আসছিলেন। উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র ভাষা তখন আমরা নো নো বলে স্লোগান দিয়েছি। রামনাথপুরের ডাক্তার নাসিম আমার স্যার ছিলেন তার সাথে আমরা পোস্টার লিখি  রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ওই ভাসনের প্রেক্ষিতে বাড়িতে এসে ইদ্রিস লোহানি ও ইউনুস লোহানি বাড়িতে এসে অবস্থান করি। সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন স্কুল কলেজে ক্যাম্পেইন করি যাতে করে ছাত্ররা আন্দোলন মুখি হয়। বুড়ি পুকুর,লালদিঘির হাট, সয়ার খোড়াগাছ, শ্যামপুরে ক্যাম্পেইন করি। এমনকি সাধারণ মানুষকেও বোঝাই যাতে সবাই মাতৃভাষা বাংলা চায়।তখন শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের  পক্ষে আন্দোলন করায় জেলখানায়। ওখান থেকে উনি চিরকুট পাঠিয়ে দেয় তখন আমরা আন্দোলন করি বাংলা ভাষার জন্য। আমি ১৯৫২  সালে মেট্রিক পরীক্ষার্থী।১৯৫২ সালে ডাক বাংলায় ভাষার দাবিতে আন্দোলন করবো বলে মিটিং করছিলাম সে সময় আমার নামে ওয়ারেন্ট হয়। তিনি আরো বলেন,” রংপুর মহকুমায় সব জায়গায় আন্দোলন করেছিলাম। তখন মতিউর রহমান মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালে ভোট ক্যাম্পেইনে আসে বঙ্গবন্ধু কালেক্টরেট ময়দানে। তখন আমি শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক। বঙ্গবন্ধুর ওই সভায় ছাত্র শিক্ষক অনেককে  নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই সভায় ছয়টা রুপার চান্দি নিয়ে গিয়েছিলাম তখন বঙ্গবন্ধু আমাকে মঞ্চে ডেকে নেয়। বঙ্গবন্ধু তখন জিজ্ঞাস করে তুমি এটা করলে কেন তখন আমি বললাম ৬ দফাকে স্বরণ রাখার জন্য এটা করছি। তখন পিঠে থাপড় দিয়ে বলে সাবাস সাবাস। ১৯৭১ সালে 6 নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করি। ৭ই মে বদরগঞ্জ শ্যামপুর থেকে লোকজন নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করি।

 

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, , আমি খুবই খুশি দেশ জাতির জন্য কাজ করে প্রধানমন্ত্রী আমাকে সম্মানিত করেছেন।আল্লাহর কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করি যেন প্রধানমন্ত্রী উনি দীর্ঘদিন থাকতে পারেন।

 

 

 

 

রিয়াদ/বাতায়ন২৪.কমঃ

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com