স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
নিজ মাদরাসার পাশে আখ খেত থেকে উদ্ধার হওয়া কওমি মাদরাসা ছাত্র সাহিনুর ইসলামের (১২) দুই চোখ উপড়ানো ছিল। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে রংপুরের পাগলাপীরের আল জমিয়াতুল ইসলামিয়া নুরুল কোরআন কওমী মাদরাসার পাশের আখ খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে প্রতিষ্ঠানটির ৭ শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শ্বাসরোধে হত্যার পর তার চোখ উপড়িয়ে ফেলানো হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পরিবার ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর সদর কোতয়ালী থানার ওসি সুশান্ত কুমার জানান, ঘটনার শিকার সাহিনুর ইসলাম (১২) স্থানীয় হরিদেবপুরে ইউনিয়নের মহাদেবপুর সাতমাইল গোকুলপুর গ্রামের শাহ আলমের পুত্র। সে আল জমিয়াতুল ইসলামিয়া নুরুল কোরআন কওমী মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল। তিনি জানান, সকালে মাদরাসার পাশের একটি আখ খেতের মাঝখানে তার লাশ মাদরাসার ড্রেস পড়া অবস্থায় দেখতে পায়। থানায় খবর দেয়া হলে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাই।
ওসি জানান, সুরুত হাল করার সময় দেখে মনে হয়েছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করতে সেখানে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিশুটিকে শুধু হত্যাকরেই ক্ষ্যান্ত হয় নি, দুটি চোখও উপড়ে ফেলেছে।
ওসি আরও জানান, শিশুটির মা মোরশেদা বেগম তাকে জানিয়েছেন সোমবার রাতে খাবার মাদরাসায় দিয়ে কথা বলে বাড়ি যান তিনি। সকালেই খবর আসে মৃত্যুর।
ওসি সুশান্ত কুমারন আরও জানান, এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটি ডিটেক্ট করার কাজ চলছে। শিশুটির পিতা শাহ আলম অজ্ঞাতনামাদের নামে হত্যা মামলা দিয়েছেন। আমরা মাদরাসার ৭ শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যে এই হত্যাকান্ডের মোটিভ বের হবে। শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
সাহিনুরের মা মোরশেদা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি রাতে ছেলেকে ভাত দিয়ে গেলাম। আর সকালে তার লাশ পাওয়া গেলে আখ খেতে। আমি মনে করি মাদরাসার শিক্ষকরা এর সাথে জড়িত।যিনি বা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসি চান এই মা। ##
বাতায়ন২৪ডটকম।।সমামা
Leave a Reply